এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরমেল সিং আদতে হরিয়ানার বাসিন্দা। সেখানে তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা আজও রয়েছেন। সিদ্দিকির খুনের পর তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, গুরমেলের সঙ্গে ১১ বছর আগেই তাঁদের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
গুরমেলের ঠাকুমা সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের কাছে ওর কোনও গুরুত্ব নেই। আমরা ওকে ১১ বছর আগেই ত্যাগ করেছি। ও বেঁচে থাকুক, বা মরে যাক, আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা ওকে চাই না। আমরা শেষবার ওর কথা শুনেছিলাম, তাও চারমাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে।'
এদিকে, রবিবারই মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, তারা এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন ২৩ বছরের গুরমেল বলজিৎ সিং। তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। অন্যজন ১৯ বছরের ধর্মরাজ রাজেশ কাশ্যপ। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে।
মুম্বই পুলিশের দাবি, শনিবার রাত সোয়া ন'টা থেকে সাড়ে ন'টার মধ্য়ে বাবা সিদ্দিকি তাঁর অফিস থেকে বের হন। এরপর তিনি পশ্চিম বান্দ্রায় তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানেই তিন যুবক তাঁকে গুলি করে।
মুম্বই পুলিশ তাদের প্রকাশ করা বিবৃতিতে আরও বলেছে, এই হামলার পরই 'সঙ্গে সঙ্গে বাবা সিদ্দিকিকে পশ্চিম বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় নির্মল নগর থানায় ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।'
পুলিশের পেশ করা তথ্য বলছে, '৫৮৯/২০২৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের অধীনে দায়ের করা এই অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর অধীনে ১০৩(১), ১০৯, ১২৫ এবং ৩(৫) নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, অস্ত্র আইনের অধীনে ৩, ২৫, ৫ এবং ২৭ নম্বর ধারাগুলিও যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্র পুলিশ আইনের ৩৭ এবং ১৩৭ নম্বর ধারাও এক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে।'
ইতিমধ্যেই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে। তারা তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশের বক্তব্য, কী কারণে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল, তার সম্ভাব্য সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদিও ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছে, তারা লরেন্স বিষ্ণোয়ি গ্যাংয়ের সদস্য। উল্লেখ্য, এই লরেন্স বিষ্ণোয়ি গ্যাংয়ের সদস্যরাই এর আগে বলিউড তারকা সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছিল।