এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর আগে ক্রিকেট বুকি অনিল জয়সিংহানির বিরুদ্ধে একটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে। সূত্রের খবর, বেশিরভাগ সম্পত্তিই হোটেল, ফ্ল্যাট, দোকান, জমি এবং অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তির আকারে রয়েছে।
ফাইল ছবি: পিটিআই
বুকি অনিল জয়সিংহনি তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৮.৩৯ লক্ষ টাকারও বেশি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আহমেদাবাদ ইউনিট। ২০১৫ সালের এক আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে দেখা যায়, ব্যাঙ্ক অনিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই বিপুল টাকা ঢুকেছিল।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর আগে ক্রিকেট বুকি অনিল জয়সিংহানির বিরুদ্ধে একটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে। সূত্রের খবর, বেশিরভাগ সম্পত্তিই হোটেল, ফ্ল্যাট, দোকান, জমি এবং অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তির আকারে রয়েছে।
উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের স্ত্রী অমৃতা ফড়নবিশকে ব্ল্যাকমেইলিং সংক্রান্ত মামলায় সহ-অভিযুক্ত হিসাবে তাঁর নাম রয়েছে।
'আবেদনকারী জানিয়েছেন, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) ৫০ নম্বর ধারার অধীনে বিবৃতি দেওয়ার সময়, অভিযুক্তকে তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম, আয়ের উত্স এবং জুয়া খেলায় জড়িত থাকার তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা নগদ জমার উত্স সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশানুসারে জয়সিংহনিকে চার দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে অসহযোগিতার কারণে তাঁকে আহমেদাবাদে PMLA-এর ১৯ নম্বর ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল, উল্লেখ করেছে আদালত।
হেফাজত পাওয়ার পরে অনিল জয়সিংহনিকে গত ৭ এপ্রিল তালোজা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিয়ে আহমেদাবাদ যায়। তোলাজায় এক ভিন্ন ঘুষ সংক্রান্ত মামলায় জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি।
১৯ মার্চ ২০১৫-তে ED ব্রিটেনের এক ওয়েবসাইট, www.Betfair.com-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এক বড়সড় হাওয়ালা র্যাকেটের সন্ধান পায়। সেই বেটিং চক্রের 'হেড অফিস' সন্দেহে ভাদোদরার এক ফার্ম হাউসে অভিযান চালানো হয়।
অভিযোগ, জয়সিংহনি একজন মূল বুকির মুম্বইয়ের পার্টনার হিসাবে কাজ করতেন। এর পরেই, ইডি বেনামে আয় এবং তার প্রাপকদের সনাক্ত করতে একটি আর্থিক তছরূপের মামলা নথিভুক্ত করে।