ইডি বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রায় ১৫,১৮৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই বিপুল টাকা সরকারি ব্য়াঙ্কে রাখা হয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজ্য়সভায় একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে নানা ডামাডোল চলছে। তবে তার মধ্য়ে ভারতীয় ব্যাঙ্কের পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন,আমেরিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশেও ব্যাঙ্ক সমস্যায় পড়ে যায়, তবে ভারতে ব্যাঙ্ক লাভজনক জায়গায় রয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, যারা ধার মেটায়নি তাদের বিরুদ্ধে নানা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর তার জেরে ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকা আসতে শুরু করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ১৩,৯৭৮ লোন অ্য়াকাউন্টের টাকা ফেরত আনার জন্য় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এফআইআর করা হয়েছে৫,৬৭৪টি ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে ৩৩,৮০১ কোটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে ফোন ব্যাঙ্কিং নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলার জন্য় অনুরোধ করেছিলেন চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এটা হল ইউপিএ জমানায় মানে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলা ধার নেওয়ার একটা বিশেষ পদ্ধতি। সেই সময় ধার নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হত। আর এমন মানুষকে ধার দেওয়া হত যারা ঠিকঠাক পরিশোধ করতে পারতেন না। আর তার জেরে প্রচুর টাকা ক্ষতি হত ব্য়াঙ্কের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের ব্যাঙ্ক কতটা লাভজনক পরিস্থিতির মধ্য়ে রয়েছে সেটা উল্লেখ করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে বিদেশের ব্যাঙ্কের পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করলেন তিনি।এদিকে বাংলাতেও একের পর এক অভিযানে নেমে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকেই মিলেছে কোটি কোটি টাকা। এছাড়াও দেশের নানা প্রান্তে অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই টাকা এবার জমা পড়ছে সরকারি ব্যাঙ্কে। আর তার জেরে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে ভারতের সরকারি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা।