এর আগে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজের দাপট বজায় রাখতে ভারত বিরোধী খলিস্তানিদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। সেই জাস্টিন ট্রুডো নাকি এখন ক্ষমতায় থাকার জন্যে মার্কিন শুল্ক নীতিকে হাতিয়ার করছেন। আর এই অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে শুল্ক বিবাদের মাঝেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প নিজেই। প্রসঙ্গত, এর আগে খলিস্তান ইস্যুতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। তখন দিল্লি দাবি করেছিল, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে খলিস্তানি ইস্যুকে ব্যবহার করছেন ট্রুডো। আর এবার শুল্ক ইস্যুতে ট্রুডো একই অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁক দিকে আঙুল তুলছেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের 'হাতকড়া পরাতে' চলেছেন ট্রাম্প, বৈঠক হল ঢাকায়)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পালটা শুল্ক জুজুতে শঙ্কিত নয় ভারত, 'অন্য ছক' কষার চেষ্টা চলছে
উল্লেখ্য, অবৈধ অভিবাসন ও ফেন্টানিল পাচার নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগের কারণে কানাডা থেকে জ্বালানি আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং অন্য সবকিছুর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই মার্কিন প্রসাধনী, যন্ত্রপাতি, টায়ার, ফল এবং ওয়াইন সহ ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের মার্কিন আমদানিতে তাত্ক্ষণিকভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রুডো সরকার। প্রয়োজনে ২১ দিনের মধ্যে আরও ১২৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রুডো। এরপর আমেরিকার তরফ থেকে আরও শুল্ক চাপানো নিয়ে কানাডাকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এই সবের মাঝেই ফোনে কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং ট্রুডোর। তারপরই ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁদের ফোনের কথাবার্তা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। তারপরই তিনি অভিযোগ করেন, শুল্ক নীতিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন ট্রুডো। উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে কানাডার শুল্ক লড়াই শুরুর পর থেকে সেই দেশে জাতীয় পতাকা বিক্রি বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। একটি আইস হকি ম্যাচের আগে মার্কিন জাতীয় সঙ্গীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিতেও দেখা গিয়েছিল কানাডার দর্শকদের তরফ থেকে। এই আবহে কানাডার একাংশে একটি আমেরিকা বিরোধী জনমত তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে।