সোমবার সকালেই আন্তর্জাতিক বাজারে একলাফে অনেকটা দাম বাড়ল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষের মাঝেই পারমাণবিক যুদ্ধের আতঙ্ক বাড়ছে। গতকালই ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীকে ‘সতর্ক’ থাকতে বলেন। তাঁর এই পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছে ন্যাটো থেকে শুরু করে আমেরিকা ও বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশ। তাছাড়া রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। একাধিক দেশ নিজেদের আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান ঢোকার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে।এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে ব্যারেল প্রতি ৭ ডলার দাম বাড়ে জ্বালানি তেলের। এদিকে সুইফট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে রাশিয়ার থেকে অন্য দেশগুলি তেল কিনতে পারবে না। কারণ সেক্ষেত্রে লেনদেনের উপায় থাকবে না কোনও। আর এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তেল উত্পাদনকারী দেশ থেকে তেল রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই আতঙ্কের মাঝেই তড়তড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।এদিন বাজারে লেনদেন শুরু হতেই তড়তড়িয়ে বাড়তে থাকে তেলের দাম। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলে বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫.০৭ ডলার। এদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ব্যারেল প্রতি দাম বেড়ে হয় ৯৯.১০ ডলার। এরই মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের তেল উতপাদনকারী দেশের জোট ‘ওপেক’ রাশিয়ার সঙ্গ ত্যাগ করতে পারে। রাষ্ট্রসংঘে এখনও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়নি। তবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে আমেরিকা বা পশ্চিমা দেশগুলির সম্পর্ক ‘বেশি ভালো’। এই পরিস্থিতিতে ওপেক প্লাস (মধ্যপ্রাচ্যের তেল উতপাদনকারী দেশ এবং রাশিয়া) জোট ভাঙতে পারে। এই সব অনিশঅচয়তার মাঝে জ্বালানির দাম ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা নিয়ে আতঙ্কে গোটা বিশ্বই।