১৪ জুন মার্কিন সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মার্কিন কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এই নিয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর আগে আসিম মুনিরের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আনেন জয়রাম রমেশ। এই আবহে কেন আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আমেরিকা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মুনিরকে মার্কিন সেনার আমন্ত্রণ সম্পর্কে একটি মিডিয়া রিপোর্ট শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জয়রাম রমেশ লিখেছেন, 'এই সেই ব্যক্তি যিনি পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার ঠিক আগে উস্কানিমূলক ভাষায় কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আসলে কী করছে? এটি ভারতের জন্য আরও একটি বড় কূটনৈতিক ধাক্কা।' (আরও পড়ুন: সেনা দিবসে আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ আমেরিকার, সফরের বিরোধিতা পাকিস্তানেই)
আরও পড়ুন: ভারতকে বেস্টফ্রেন্ড বানাতে চাইলেও… বড় দাবি 'সংঘর্ষ বাঁধাতে চাওয়া' ইউনুসের
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আগামী ১২ জুন এক সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসিতে যাচ্ছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী স্মরণে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১৪ জুন এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তবে নিজ দেশে মুনিরের সফরের বিরোধিতা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের আওতায় চলমান চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) পরিকল্পনা পাকিস্তানকে কেবল অর্থনৈতিকভাবে চিনের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে না, এটি চিনকে আরব সাগরে সরাসরি ও কৌশলগত প্রবেশাধিকারও দিচ্ছে। এদিকে পাকিস্তানের পড়শি ইরানের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমেরিকার। এই আবহে পাকিস্তানকে নিজেদের কাছে টানতে মরিয়া আমেরিকা। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'অভূতপূর্ব অংশীদার' পাকিস্তান, দাবি US জেনারেলের)
আরও পড়ুন: ইউনুসের প্রেস সচিব ভুলে গেছিলেন ওটা লন্ডন, ঢাকা না! ডাহা মিথ্যা বলে পড়লেন ধরা
দিকে এই সফরকালে কাশ্মীর ইস্যুতে আমেরিকার সমর্থন চাইতে পারে পাকিস্তান। তবে ভারত বরাবরই এই ইস্যুকে দ্বিপাক্ষিক বলে বর্ণনা করে এসেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও মুখে একই নীতিকে সমর্থন করে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকী সম্প্রতি ভারত-পাক সংঘাতে সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব নিতে মরিয়া উঠেছেন ট্রাম্প।