কগনিজ্যান্টের অভিযোগ, তাদের স্বাস্থ্যসেবা সাবসিডিয়ারি ট্রিজেটোর বাণিজ্যিক গোপনীয় তথ্য চুরি করেছে ইনফোসিস। এবং পরবর্তীতে সেই তথ্যের অসৎ প্রয়োগ করেছে ইনফোসিস।
Ad
ঠিক কী 'চুরি' করেছে ইনফোসিস? IT সংস্থা কগনিজ্যান্টের অভিযোগটা বুঝুন বিশদে
২০১৪ সালে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ট্রিজেটো নাম স্বাস্থ্যসেবা ব্যবসা কিনে নিয়েছিল কগনিজ্যান্ট। সেই ব্যবসায়িক চুক্তির মাধ্যমে কগনিজ্যান্টের পাশাপাশি তাদের দুই সফটওয়্যার 'ফ্যাসেট' এবং কিউএনএক্সটি কিনে নিয়েছিল কগনিজ্যান্ট। কগনিজ্যান্টের অভিযোগ, এই সফটওয়্যারের তথ্য অনৈতিক ভাবে চুরি করে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে ইনফোসিস। এই আবহে ট্রিজেটো আদালতে মামলা করেছে ইনফোসিসের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এই মামলাটি ২০২৪ সালের অগস্টের। সেই সময় ড্যালাসের আদালতে এই নিয়ে মামলাটি হয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'সুযোগ কাজে লাগানোর ছক', ভারতের জমি 'নিজেদের করতে' বাংলাদেশকে পাশে চাইছে চিন!)
কগনিজ্যান্ট দাবি করে, তাদের স্বাস্থ্যসেবা সাবসিডিয়ারি ট্রিজেটোর বাণিজ্যিক গোপনীয় তথ্য চুরি করেছে ইনফোসিস। এবং পরবর্তীতে সেই তথ্যের অসৎ প্রয়োগ করেছে ইনফোসিস। মূলত নন-ডিসক্লোজার অ্যান্ড অ্যাকসেস এগ্রিমেন্টের (এনডিএএ) মাধ্যমে ইনফোসিসের অ্যাক্সেস ছিল ট্রিজেটোর সফটওয়্যারে। সেখান থেকেই কগনিজ্যান্টের ট্রেড সিক্রেট চুরি করে ইনফোসিস। এই বিষয়ে যখন ইনফোসিসকে প্রশ্ন করা হয়, তখন তারা ট্রিজেটোকে বলে যেন তাদের চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা হয়। যদিও ট্রিজেটো পরে অডিট করে জানতে চায় ইনফোসিস কতটা তথ্য সংগ্রহ করেছে। নন-ডিসক্লোজার অ্যান্ড অ্যাকসেস এগ্রিমেন্টে এই অডিটের বিধান আছে। তবে ইনফোসিস সেই অডিট করতে দেয়নি। এদিকে এই সব তথ্য ব্যবহার করেই ইনফোসিস 'ফ্যাসেট'-এর জন্যে তথ্যভাণ্ডার সফটওয়্যার তৈরি করেছে বলে দাবি কগনিজ্যান্টের। আর অনৈতিক ভাবে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করেই ট্রিজেটোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে ইনফোসিস। (আরও পড়ুন: জল্পনা হল সত্যি, অভিজ্ঞতা বদলে দিতে ভারতের প্রথম স্মার্ট টিভি OS লঞ্চ করল জিও)
তবে ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে এক ফাইলিংয়ের মাধ্যমে যাতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ইনফোসিস। সেই সময় ইনফোসিস দাবি করে যে ট্রিজেটোর যাবতীয় সব কিছু জনসমক্ষেই আছে। এই আবহে কোন 'ট্রেড সিক্রেটের' কথা কগনিজ্যান্ট বলছে, তা খোলসা করার দাবি জানায় ইনফোসিস। এদিকে কগনিজ্যান্টের বিরুদ্ধে কর্মী চুরির অভিযোগ এনেছে ইনফোসিস। তাদের অভিযোগ, ইনফোসিসের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাদের হেলথকেয়ার সফটওয়্যার চালু করতে দেরি করেছিলেন রবি কুমার। উল্লেখ্য, পরবর্তীতে রবি কুমার কগনিজ্যান্টে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, যখন এই সব চলছিল, তখন কগনিজ্যান্টের সঙ্গে নিজের বেতন নিয়ে দর কষাকষি চালাচ্ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে ইনফোসিস ছেড়েছিলেন রবি। এরপর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি কগনিজ্যান্টে যোগদান করেছিলেন। (আরও পড়ুন: ইউনুসের বাংলাদেশকে কি অস্ত্র সরবরাহ করবে বেজিং? বড় দাবি চিনা রাষ্ট্রদূতের)