চাঁদে নামার আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে। দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছে ভারতবাসী। কী হয় কী হয়! তবে এবার জেনে নিন এই চন্দ্রযান-৩ এর পেছনে ঠিক কাদের মাথা কাজ করল?
গত চার বছর ধরে তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এরপর ধরা দিতে চলেছে সেই বহু প্রত্য়াশিত সাফল্য। রাশিয়ার চন্দ্রযান মুখ থুবড়ে পড়েছে কিছুদিন আগে। ভারত কী পারবে? পারতেই হবে। এটাই প্রার্থনা ভারতবাসীর। তার আগে জেনে নিন সেই বিজ্ঞানীদের কথা যাঁরা রাতদিন পরিশ্রম করেছেন সাফল্যকে ছোঁয়ার জন্য…
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ
সম্প্রতি ইসরো প্রধান চন্দ্রযানের পাশাপাশি ইসরোর একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার চন্দ্রযানের সাফল্যের সময় আসন্ন। তবে জেনে নিন যে এলভিএম রকেট চন্দ্রযান -৩কে মহাকাশে নিয়ে গিয়েছে সেই রকেটের ডিজাইন করেছেন ইসরো প্রধান। শুধু মহাকাশের আনাচ কানাচ তাঁর হাতের মুঠোয় এমনটা নয়, সংস্কৃত ভাষাতেও তিনি দক্ষ।
চন্দ্রযান-৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ভিরামুথুভেল পি
চন্দ্রযান ২ ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও হাল ছাড়েননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আর সেই হার না মানা বিজ্ঞানীদের অন্যতম হলেন চন্দ্রযান-৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ভিরামুথুভেল পি।
চন্দ্রযান-৩ এর ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর কল্পনা কে
চন্দ্রযান ৩ মিশনের অন্য়তম বিজ্ঞানী হলেন চন্দ্রযান-৩ এর ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর। রাতদিন তিনি এই প্রকল্পের জন্য় পরিশ্রম করে গিয়েছেন।
বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণন নাইয়ার
গগনযান প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পের পেছনেও তাঁর অবদান মানতেই হয়। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
উই আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম শংকরন
প্রায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা। ভারতের মহাকাশ গবেষণার নানা উত্থান পতনের তিনি সাক্ষী।
উই আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর এ ভনিথা
দেশের প্রথম মহিলা গবেষক যিনি চন্দ্রযান ২ মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। কোথাও যাতে ভুল না হয় সেটা প্রতি পদে মিলিয়েছেন যে মানুষরা তাঁদের অন্যতম হলে এ ভনিথা।