কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন, খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে নাকি ভারতীয় যোগ আছে। তবে বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের দাহি, এবার কানাডারই এক কমিশন রিপোর্টে নিজ্জর খুন নিয়ে লেখা হল, 'হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে যে তোনও বিদেশি শক্তির যোগ থাকতে পারে এমন কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।' কানাডার গণতন্ত্রে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত ১২৩ পাতার রিপোর্টে এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সেই একই রিপোর্টে আবার দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে নাকি ভারত হস্তক্ষেপ করছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। (আরও পড়ুন: আমেরিকান এয়ারলাইন্সের উড়ানের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ ওয়াশিংটনে, নদীতে বিমান)
আরও পড়ুন: কেন মহাকুম্ভে পদপিষ্ট এত জন? ষড়যন্ত্র কি? বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ যোগীর
হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসছে কানাডা। তবে দিল্লিও দাবি করে এসেছে, এই মামলায় দিল্লির হাতে কোনও প্রমাণ তুলে দেয়নি জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এরই মাঝে এই মামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে দিল্লির দাবি, রাজনৈতিক কারণেই ভারতের ঘাড়ে এই দোষ চাপাচ্ছেন ট্রুডো। (আরও পড়ুন: নজর ছিল গোটা বিশ্বের, সুদের হার নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ?)
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে রণতরী থেকে মিসাইল লঞ্চ, মহড়ায় বাংলাদেশের নৌবাহিনী
প্রসঙ্গত, নিজ্জর খুনের ঘটনায় প্রমাণ দেখতে চেয়েছিল ভারত। তা দেখানো হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজ্জর খুনের পরে এনআইএ-র তরফ থেকে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের কাছ থেকে খলিস্তানি জঙ্গির ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। কানাডা সেই ডেথ সার্টিফিকেট দেখায়নি। বরং তারা উলটে প্রশ্ন করেছে, এই ডেথ সার্টিফিকেট ভারতের কেন চাই। তারা কার্যত বুঝিয়ে দেয় যে নিজ্জর খুন সংক্রান্ত তথ্য তারা ভারতকে দিতে নারাজ। উল্লেখ্য, ভারতে নিজ্জরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। এই আবহে আদালতের নথির রেকর্ডের খাতিরে সেই ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ভারতে ঢুকে বড় বড় গর্ত খুঁড়ছে বাংলাদেশিরা, দেখেই তাড়া গ্রামবাসীদের)
আরও পড়ুন: BSF-এর মহিলা জওয়ানের ওপর হামলার চেষ্টা, গুলি চলতেই ছুট বাংলাদেশিদের
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৮ জুন গুরুদ্বারের ভেতরেই গুলি করে হত্যা করা হয় খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে। হরদীপকে ২০ বারেরও বেশি গুলি করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পঞ্জাবি অধ্যুষিত সারে অঞ্চলে থাকত হরদীপ। বিগত কয়েকবছরে কানাডার ভ্যানকুবারে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে খলিস্তানি বিক্ষোভের নেপথ্যে ছিল এই হরদীপ। কানাডায় মৃত হরদীপের বিরুদ্ধে এনআইএ-র চারটি মামলা ছিল। এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র সহ খলিস্তানি যোগের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এই আবহে হরদীপ নিজ্জরের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল এনআইএ। জানা যায়, হরদীপ খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিল। গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের 'শিখস ফর জাস্টিস' সংগঠনের মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্ব ছিল হরদীপের টাইগার ফোর্সের ওপর।