Bangladesh students murder: সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলায় ধৃত ২, তোলা হবে আদালতে

কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশে সেই সময় সাভারে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশের সাভার বাজার রোডে অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হল কৃষ্ণ পাল এবং মহম্মদ রুবেল মেধা। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। অবশেষে তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ।আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট মহিলা কমিশনবাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ পাল হলেন সাভার পুর এলাকার পালপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। অন্যদিকে, মহম্মদ রুবেল মেধা কাজী মোকমাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। দুটি পৃথক মামলার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় এই অভিযোগগুলি দায়ের করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঢাকা জেলা জিবি ডিবি উত্তরের এসআই আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল সাভার বাজারে হানা দেয়। সেখান থেকেই এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জালাল উদ্দিন।প্রসঙ্গত, অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ছাত্র হত্যা এবং গণহত্যা মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই অনেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কয়েকদিন আগেই ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যায়, ওই নেতাকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের হাবিব হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতের নাম জহিরুল ইসলাম পান্না। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার উপজেলা ছাত্রলিগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সহযোগী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। জানা যায়, সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন। পরে মৃতদের পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এবার আরও দুজন গ্রেফতার হল।