বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা আরও একটা নিদর্শন মিলল। মন্দিরে কীর্তন করতে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। খুব সাধারণভাবেই তাঁরা ঈশ্বর ভজনা করছিলেন। কিন্তু সেখানেও মৌলবাদীদের হুমকি এসে পড়ল। আর তার জেরে বন্ধ করে দিতে হল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দেশে থাকতে হলে কীর্তন করা যাবে না বলে ‘ফতোয়া’ জারি হল বাংলাদেশের রংপুরে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অস্ত্র নিয়ে মন্দিরে হানা দেয় মৌলবাদীরা। তাদের ‘হুমকিতে’ উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। অনেকে বলছেন, রংপুরে শুরু হয়েছে রংবাজি।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হাতে তাণ্ডব চলেছিল চারটি মন্দিরে। খুন হন এক পুরোহিতও। ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস আজও জেলে। এবার মঙ্গলবার কীর্তনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল। একইসঙ্গে মাদারিপুরে একটি কালীমন্দিরে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। তালা ভেঙে প্রতিমার অলঙ্কার থেকে শুরু করে দানপাত্রের টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এমন ঘটনা বারবার ঘটে গেলেও কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি মহম্মদ ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে। নোবেলজয়ী প্রধান উপদেষ্টা একমাস ধরে বলছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুরা এখন ভাল আছেন।’ যার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বড়দিনের মেজাজে চূড়ান্ত বেলেল্লাপনা শহরে, ৯ হাজার যাত্রীকে জরিমানা কলকাতা পুলিশের
এদিন রংপুরের তাজহাটে শীতলা মন্দিরে কীর্তন চলছিল। হঠাৎ সেখানে হাজির হয় একদল আগন্তুক। কেন এখানে কীর্তন চলছে? তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। যার কোনও উত্তর মেলেনি। কারণ মন্দিরে কীর্তন চলবে না তো কী চলবে! বিস্মিত সকলেই। তখন রীতিমতো হুমকি দিয়ে সব কিছু বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। মন্দিরে উপস্থিত অনেকে প্রশ্ন করেন, কেন অনুষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে? কিন্তু সেসব প্রশ্নেরও উত্তর দেয়নি আগন্তুকরা। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সোমবার মহম্মদ ইউনুসকে ফোন করেন আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। তাঁকে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তারপরই রংপুরের এই ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়াল।
এখন আবার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে ঢাকা। খুন থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। হাসিনার বিরুদ্ধে লাগাতার চাপ বাড়াতে চাইছে ইউনুস সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এসবের মধ্যে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান–সহ সব অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।