রোহিঙ্গা নীতিতে কিছুটা বদল আনতে চাইছে বর্তমান বাংলাদেশ। আসলে গত সাত বছর ধরে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে এসবের মধ্যেই দুই দেশেরই রাজনৈতিক বাস্তবতায় ক্রমশ অন্যরকম হতে শুরু করেছে। সেই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা নিয়ে সরকারি পলিসিতে বদল আনার সম্ভাবনাও জোরালো হতে শুরু করেছে।
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে শুরু। মায়ানমারের আরাকান আর্মি রাখাইনের অন্তত ১৭টির মধ্য়ে ১১টিকে নিজেদের কব্জায় এনে ফেলেছে। মোটামুটি রাখাইনের ৮০ শতাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। আর এক্ষেত্রে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সীমান্ত রয়েছে প্রায় ২৭১ কিমি।
এদিকে ডেইলি স্টারের খবর অনুসারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা এবার নতুন করে রোহিঙ্গা ও মায়ানমার সংকট নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
ডেইলিস্টার জানতে পেরেছে বিদেশমন্ত্রকের অফিসারদের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আরাকান আর্মির সঙ্গে কীভাবে সেমি ফর্মাল যোগাযোগ করা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে,ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা প্রত্যর্পণের বিষয়টি মাথায় রেখে।
তবে ঢাকা এনিয়ে মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করবে তেমনি ভারত ও চিনের সহায়তাও চাইবে। তবে বাংলাদেশের বৈদেশিক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি বলেছিলেন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। তবে সেমি ফর্মাল সম্পর্ক হতে পারে। আগামী দিনে এই আরাকান আর্মি রাখাইনের বড় ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে। তাদেরকে এড়িয়ে আমরা কিছু করতে পারব না।