মহম্মদ ইউনুসের অধীনে বাংলাদেশে বিদেশ নীতি কোন পথে চলছে? এই নিয়ে সম্প্রতি বড় দাবি করলেন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকের দফতরে 'নতুন বাংলাদেশ গঠন : অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও পররাষ্ট্রনীতি' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সাংবাগিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মাহফুজ আলম। সেখানেই তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকার চায় বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে নতজানু হয়ে সম্পর্ক রক্ষা করা হবে না। সেই সম্পর্ক হবে বাস্তবভিত্তিক। সেখানে কোনও দুঃসাহস বা হঠকারিতার জায়গা থাকবে না।' এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের অপর এক তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসিমউদ্দিন। (আরও পড়ুন: 'রহস্যভেদে' মগ্ন হাসিনা, দিল্লি থেকে এবার 'ঘুরে দাঁড়ানোর' বার্তা মুজিবকন্যার!)
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, 'বন্ধু' হারিয়ে শোক প্রকাশ বাইডেনের
বাংলাদেশের বিদেশ নীতি নিয়ে মাহফুজ এই অনুষ্ঠানে বলেন, 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় - এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিদেশ নীতি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে সবাইকে। সরকার অদলবদলে যেন সেই নীতি না বদলায়। বাস্তবতার ভিত্তিতে বিদেশ মন্ত্রক যেন বিশ্বমঞ্চে বংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠা করে।' তিনি বলেন, 'আমরা অনের পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। জনকূটনীতি থেকে সফট পাওয়ার... কীভাবে এগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' এদিকে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এর আগের সরকার নতজানু হওয়ার পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করেছিল।' (আরও পড়ুন: বছরশেষে চট্টগ্রামের কারাগারে কেমন আছেন বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু?)
আরও পড়ুন: বাড়ছে না ডিএ, এরই মাঝে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মেমো অর্থ দফতরের
আরও পড়ুন: বছর শেষে ফের শীতের আমেজ জেলায় জেলায়, কলকাতায় তাপমাত্রা নামবে কত ডিগ্রিতে?
অপরদিকে বিগত দিনের আওয়ামি লিগের সরকারকে তোপ দেগে মাহফুজ আলম আরও বলেন, 'আমরা চাই বিদেশ মন্ত্রক যেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে, কোনও দলের নয়। বাংলাদেশকে সামনে রাখার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দল এবং আমাদের যত স্টেক হোল্ডার আছে সবার ঐকমত্য চাই। বর্তমানে এটাই হচ্ছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা, অখণ্ডতা রক্ষা করতে আমাদের শক্তি কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে আমাদের। কোন রাষ্ট্র কী করল, তা না দেখে আমাদের নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। দর কষাকষির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাহলেই জনগণ উপকৃত হবে।'