বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে তাণ্ডব চালাতে বারণ করা হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা জারি আছে। এরই মাঝে আবার গাজিপুরে প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা করতে গিয়ে স্থানীয়দের মারধরে জখম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা। যদিও সেই ঘটনায় 'ন্যারেটিভ' বদল করতে বদ্ধপরিকর হাসনাত-সারজিসরা। সঙ্গে সরকারও তাঁদের পথেই হয়ত হাঁটতে চায়। কারণ বিগত ৬ মাস ধরে বারংবার ইউনুস সরকারকে ছাত্র নেতাদের দাবি অনুযায়ী চলতে দেখা গিয়েছে। এই আবহে আজ থেকে বাংলাদেশে শুরু হবে অপারেশন ডেভিল হান্ট। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশেই নেই ইউনুসের ‘কথার দাম’, তাঁর প্রেস সচিব আবার আঙুল তুললেন ভারতের দিকে)
আরও পড়ুন: দিল্লির প্রভাব কি পড়বে বাংলায়? ছাব্বিশের ভোটে TMC-র আসন সংখ্যা বলে দিলেন কুণাল
এই অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামি লিগ সর্থকদের ধরতে চাইছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, বিগত কয়েকদিন ধরে যে তাণ্ডব বাংলাদেশে চলছে, তার নেপথ্যে রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে যখন ৩২ নং ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা হয়, তার কিছু আগেই ছাত্র নেতা হাসনাত ফেবসুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছিলেন, 'ফ্যাসিবাদীদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে বাংলাদেশ'। এহেন উস্কানি থেকে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে ইউনুস সরকার ব্যর্থ। এমনকী বিএনপি এই পরিস্থিতির জন্যে সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে এবং হিংসার নিন্দা জানিয়েছে। আর এখন গাজিপুরের ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধারে নেমেছে হাসনাত-সারজিসরা। এখন তারা নিজেরাই রাস্তায় বসে পড়েছেন। (আরও পড়ুন: পদ্মপাঁকে ডুবল কেজরিওয়ালের ঝাড়ু, কোন ৫ কারণে দিল্লি জয় সম্ভব হল বিজেপির?)
আরও পড়ুন: CM হবেন কি না ঠিক নেই, তবে দিল্লিতে BJP সরকারের 'অগ্রাধিকার' জানালেন পরবেশ
উল্লেখ্য, এর আগে মহম্মদ ইউনুসের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে সাধারণ মানুষকে ভাঙচুর থেকে বিরত থাকতে বারণ করা হয়। এমনকী নাম নিয়ে শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তিতে হামলা করা থেকে বিরত থাকতে বলেন ইউনুস। তবে তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গতকাল গভীর রাতে বগুড়ার শেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এই নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতা ইয়াসিন আলি প্রথম আলোকে অবশ্য বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাদের যোগ নেই। তবে গতকাল গাজিপুরে আবার প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হুসেনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। হামলাকারীদের পালটা মারধর করেছিলেন স্থানীয়রা। আর আজ আহত হামলাকারীদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই 'মুখ' হাসনাত ও সারজিস আলম। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, আদতে এই সব ভাঙচুরের নেপথ্যে কারা আছে? ইউনুসের সরকার কি ইচ্ছে করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে না? এরই মাঝে অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে তারা। তবে সেটা ঠিক কোন পথে, তা স্পষ্ট নয় এখনও।