বাংলাদেশে কার্যত তীব্র ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য় হয়েছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি আনতে নানা চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশের তরফে। এমনকী এনিয়ে ভারতের কাছেও সম্প্রতি বার্তা পাঠানো হয়েছিল বলে খবর।এবার এনিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রেস সচিব।
যমুনা টেলিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের প্রেস সচিব জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমরা তো বলেছি আমরা একটা নোট ভার্বাল পাঠিয়েছি সেই অনুযায়ী অফিসিয়ালি তাদের কাছ থেকে কিছু শুনিনি। কিন্তু আমাদের টপ প্রায়োরিটি তাকে ফিরিয়ে আনাটা। এনে বিচারের সম্মুখীন করা এটা আমাদের একটা দায়। এটা থেকে এক ইঞ্চিও পিছুপা হব না। তারা যে আকাম কুকাম করেছে যে চোরতন্ত্র, গুমতন্ত্র জারি করেছিল সেগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আপনারা জানেন যে তিনি বাবার খুনীদের অনেক জায়গা থেকে নিয়ে এসে এখানে বিচার করেছেন। তিনিও বাবার ক্ষেত্রে যেভাবে পারস্যু করেছেন, আরও দ্বিগুণ তৎপরতার সঙ্গে আমরা তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করাব। আমরা আশাবাদী পৃথিবীতে কেউ কোনও খুনীকে তো সেভাবে জায়গা দিতে চায় না। হাসিনার যে ভয়ানক কাণ্ড করেছে তা ইন্ডিয়ার প্রেসের অনেকেই জানতেন না। ইদানিং অনেকে দেখা শুরু করেছে। এখন যখন জানবে কী ধরনের অত্যাচার, কী ধরনের অনাচার,একনায়কতন্ত্র ছিল তখন প্রেসার তৈরি হবে। আমরা প্রেসারটা ক্রমাগত রাখব। এই প্রেসারটা রাখব। আমাদের অংশীদার যে রাজনৈতিক দল তারাও করবেন। এটা সবার মধ্যে আছে যে এই যে ছোট বাচ্চাদের খুন করা হল, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, আমরা না পারলে পরবর্তীতে যারা আসবেন তাঁরা চেষ্টা করবেন। এটা জাতির আকাঙ্খা। তাকে এনে বিচারের সম্মুখীন করাতে হবে। এটা ঠিক যে পালিয়ে গেল। তবে একটা অন্য ধরনের পরিস্থিতি,…৫-৮তারিখ পর্যন্ত সরকার ছিল। অনেক সুবিধা নিয়েছে। আমরা গোটা ছবিটা জানতে চাইছি। কীভাবে কী হয়েছে। আমরা সৎ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে তদন্ত করাব। তবে যদি দেখা যায় যে আগের অফিসার এর তদন্ত করছে তবে যে খুব ভালো রেজাল্ট পাব তেমনটা নয়। সেকারণে আমরা দেখছি। কাজ করছি। জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। ভারতকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে দিল্লিতে এনিয়ে 'নোট ভারবাল'( কূটনৈতিক বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এনিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, 'আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে একটি নোট ভার্বাল( Note Verbale) আমরা পেয়েছি। প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত একটা অনুরোধের ব্যাপারে। এই সময়ে এই ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই।