কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার মাদুরাইয়ে এক বক্তৃতায় তামিলকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি সেই ভাষায় তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। মাদুরাইয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন ‘ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা’ বলতে না পারার জন্য ক্ষমা চাইছি। এই বলে তিনি তাঁর তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। ... আমি তামিলনাড়ুর দলীয় কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইছি কারণ আমি তাঁদের সঙ্গে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা তামিলে কথা বলতে পারছি না। বললেন শাহ।
তিনি বিজেপি কর্মীদের আশ্বাস দিয়েছেন যে ২০২৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডিএমকে পরাজিত হবে এবং বিজেপি-এআইএডিএমকে-র একটি এনডিএ সরকার গঠন করবে। ২০২৬ সালে এখানে বিজেপি-এআইএডিএমকে জোটের এনডিএ সরকার গঠিত হবে। আমি দিল্লিতে থাকি, কিন্তু আমার কান সবসময় তামিলনাড়ুতে থাকে। এমকে স্ট্যালিন বলছেন, অমিত শাহ ডিএমকে-কে হারাতে পারবেন না। উনি ঠিকই বলেছেন। এটা আমি নই, তামিলনাড়ুর মানুষ আপনাদের পরাজিত করবে।
জাতীয় শিক্ষানীতির (এনইপি) অধীনে প্রস্তাবিত ত্রিভাষা ফর্মুলার মাধ্যমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে স্তালিনের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সাথে ভাষা যুদ্ধের মধ্যেই তামিল সম্পর্কে অমিত শাহের মন্তব্য এসেছে। এনইপি ইস্যুতে চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্র এবং তামিলনাড়ু সরকারের মধ্যে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান রাজ্যে এনইপি বাস্তবায়নের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে একে অপরকে নিশানা করেছিলেন।
ডিএমকে-র প্রধান স্ট্যালিন আরও বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আরও একটি ভাষা যুদ্ধের বীজ বপন করছে এবং তামিলনাড়ু তার জন্য প্রস্তুত। ১৯৬০-এর দশকে হিন্দি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল এই রাজ্যের জন্য ভাষা দীর্ঘদিন ধরে একটি আবেগময় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জোর দিয়ে বলেছিলেন যে জাতীয় শিক্ষানীতি ‘ভাষাগত স্বাধীনতার নীতিকে সমর্থন করে’ এবং রাজ্যগুলির উপর ‘কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে নয়’। ধর্মেন্দ্র প্রধান তাঁর কাছে ‘শিক্ষার রাজনীতিকরণ’ না করার এবং ‘রাজনৈতিক পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠতে’ আবেদন করেছিলেন।