'আমাকে এমন একটি ছবি দেখান যেখানে ভারতের ক্ষতি হয়েছে।''অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। দেশীয় প্রযুক্তির জয়গাথা রচনা করেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পর এবার পাকিস্তানের উপর চালানো ভারতের সেনা অভিযান নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।তিনি পরিষ্কার বলেছেন যে এই অপারেশনে ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি।
শুক্রবার আইআইটি মাদ্রাজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অজিত ডোভাল বলেন, 'আমাদের দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশ করতে হবে।এখানে অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।দেশীয় প্রযুক্তির কলকৌশল সামরিক কাজে ব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই অভিযান।ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা কিছু আমরা ব্যবহার করেছি সবই আমাদের নিজস্ব। আমরা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৯টি জঙ্গিঘাঁটিকে নিশানা করেছিলাম। আর একটিতেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হইনি।এটা এতটাই নির্ভুল ছিল যে আমরা বুঝতে পারছিলাম কে কোথায় রয়েছে। গোটা অপারেশনটি হয়েছে মাত্র ২৩ মিনিটে। '
আরও পড়ুন-মিউজিক ভিডিয়োয় মেয়ের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ বাবা? রাধিকা হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
যদিও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বেশ কিছু বিদেশি সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ ছিল যে, অপারেশনে ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছিল। এই দাবিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, 'বিদেশি সংবাদমাধ্যম বলেছে যে পাকিস্তান এটা করেছে এবং ওটা করেছে। আপনারা কেউ একটি ছবি প্রকাশ্যে এনে প্রমাণ করুন ভারতের কোনও ক্ষতি হয়েছে।এই সময় ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি।' পাশাপাশি নাম না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানকে নিশানা করে ডোভাল বলেন, ওরা মুখে বলছে। কিন্তু, উপগ্রহ চিত্র পাকিস্তানের ১৩টি বিমান ঘাঁটির যে ছবি দেখাচ্ছে তা আবার বিপরীত প্রমাণ দিচ্ছে। ছবিগুলিতে ১০ মে-এর আগে এবং পরে পাকিস্তানের ১৩টি বিমান ঘাঁটি দেখানো হয়েছে, তা সে সারগোধা, রহিম ইয়ার খান, চাকলালা হোক...আমি কেবল আপনাকে বলছি যে বিদেশি মিডিয়া ছবির ভিত্তিতে যা প্রকাশ করেছে...আমরা তা করতে সক্ষম।'
আরও পড়ুন-মিউজিক ভিডিয়োয় মেয়ের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ বাবা? রাধিকা হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা হয়। সেই ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন। এই হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিঁদুর চালায়। পাকিস্তানের গভীরে জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করে মিসাইল হামলা চালানো হয়। অনেক জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা পাকিস্তান ভারতের নানা শহরকে টার্গেট করে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তার কড়া জবাব দেয় ভারত। পাকিস্তানি সেনা ও বায়ুসেনার বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। চার দিন ধরে সামরিক সংঘর্ষের পর ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে 'সংঘর্ষবিরতি' ঘোষণা করা হয়।