লোকসভা নির্বাচনে বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছে। এনিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা। ভোটের ফলাফল ঘোষণার একদিন পর মায়াবতী বলেন, মুসলিম সম্প্রদায় প্রার্থী তালিকায় যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব থাকা সত্ত্বেও তার দলকে ভোট দেয়নি। তিনি বলেছিলেন যে সম্প্রদায়টি তার দলকে বুঝতে সক্ষম হয়নি এবং তিনি ‘অনেক চিন্তাভাবনা’ করার পরেই তাদের নির্বাচনে সুযোগ দেবেন।
এই প্রথম নয়, এর আগেও লোকসভা ভোটে বিএসপি কোনও আসন জিততে পারেনি। ২০১৪ সালে দলটি খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তারা ১০টি আসনে জিতেছিল।
এক বিবৃতিতে মায়াবতী বলেন, উত্তরপ্রদেশে তাদের অস্বস্তিকর পারফরম্যান্সের কারণ খুঁজে বের করতে তাঁর দল গভীর বিশ্লেষণ করবে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন না পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই সম্প্রদায় তাকে বুঝতে পারছে না।
তিনি বলেন, 'বহুজন সমাজ পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুসলিম সম্প্রদায়। বিগত নির্বাচনে এবং এবার লোকসভা সাধারণ নির্বাচনেও যথাযথ প্রতিনিধিত্ব দেওয়া সত্ত্বেও বিএসপিকে তারা সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না। তাই এ অবস্থায় দল অনেক চিন্তা-ভাবনা করে তাদের নির্বাচনে সুযোগ দেবে, যাতে এবারের মতো ভবিষ্যতে দলের বড় ক্ষতি না হয়।
বিএসপি ৩৫ জন মুসলিম প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নেত্রীর দাবি মুসলিম সম্প্রদায় তাঁদের ভোট দেননি। তার জেরে আগামী দিনে চিন্তাভাবনা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
মায়াবতীর প্রাক্তন জোটসঙ্গী অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ভেঙে উত্তরপ্রদেশে ৩৭টি লোকসভা আসন পেয়েছে। তাদের ভারতীয় ব্লকের জোটসঙ্গী কংগ্রেস রায়বরেলি ও আমেঠিসহ ছয়টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছে।
গত দুটি সাধারণ নির্বাচনে বিরাট জয় পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার মাত্র ৩৩ টি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে তারা। জাতীয়ভাবে, দলটি মাত্র ২৪০ টি আসন জিতেছে। এনিয়েও ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৩২টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে তারা পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। এবার একধাক্কায় কমে গিয়েছে আসন সংখ্যা।
নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস মায়াবতীকে ইন্ডিয়া ব্লকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তিনি অবশ্য তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এরপর তিনি কী করবেন সেটা অবশ্য় এখনও পরিস্কার নয়।