ঘুষকাণ্ডে এবার মার্কিন আদালতের বড় নির্দেশ। গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস। উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল ঘুষ কাণ্ডে। তার মধ্যে মার্কিন মুলুকে মামলায় তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে গৌতম আদানি, সাগর আদানিদের বিরুদ্ধে। তবে শেয়ার বাজারের ফাইলিংয়ে সম্প্রতি বহুজাতিক এই সংস্থাটি জানিয়েছিল, বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কোনও অভিযোগ নাকি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আনা হয়নি। শেয়ার বাজার ফাইলিংয়ে আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, সিকিউরিটিজ জালিয়াতি ষড়যন্ত্র, অনলাইন লেনদেন জালিয়াতি ষড়যন্ত্র, এবং সিকিউরিটিজ জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে আদানির বিরুদ্ধে। তবে বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কোনও অভিযোগ নাকি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আনা হয়নি। (আরও পড়ুন: এখনও নেই কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন, এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস কী? এর উপসর্গ কী?)
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা মার্কিন মুলুকে, ক্যালিফোর্নিয়ায় বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল বিমান: ভিডিয়ো
তবে রিপোর্টে দাবি, আদালতে চলা মামলার প্রেক্ষিতে অভিযোগ, বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিল আদানি গ্রিন এনার্জিস। এই সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ফৌজদারি এবং দেওয়ানি আইনের আওতায় মামলা করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস আ্যাক্টে মামলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার মামলাও হয়েছে। এর পাশাপাশি শেয়ার এবং ঋণপত্রে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগেও মামলা দেওয়ানি হয়েছে আদানি গ্রিনের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: এই মাসেই ফাঁসি, 'কথা বলার' আস্বাস, নিমিশার স্বামী বললেন- 'লাস্ট মিনিট পার্ডন...')
আরও পড়ুন: ১০ বছর মার্কিন সেনায় থাকা জব্বরের সঙ্গে চলে পুলিশের গুলির লড়াই, দেখুন ভিডিয়ো
উল্লেখ্য, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২৬.৫ কোটি ডলারের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আদানি এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবে আদানি গোষ্ঠী নিজেদের ফাইলিংয়ে দাবি করেছিল, ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানির নাম নেই। সেই অভিযোগে অভিযুক্ত আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের এক কর্তা এবং এক কানাডিয়ান বিনিয়োগকারী। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে কি রীতিমতো 'ভয়' পাচ্ছে ইউনুস সরকার? তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে...)
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকল মায়ানমার সেনা সদস্যরা!
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি নাকি ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল। ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৬.৫ কোটির ডলারেরও বেশি ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়। যদিও এই সব অভিযোগই অস্বীকার করে আদানি গোষ্ঠী। আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল তারা। এরই মাধ্যমে আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে তারা টাকা তুলেছিল বাজার থেকে। দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী।