ঘটনা ২০১৮ এর। এক আদিবাসী ব্যক্তির বিরুদ্ধে খাবার চুরির অভিযোগ ঘিরে তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চলছিল মামলা। সদ্য কেরলের কোর্ট অভিযুক্তদের কম সাজা দিয়েছে। এর নেপথ্যের কারণ হিসাবে, কোর্ট জানিয়েছে, যেহেতু ওই নির্যাতিত ব্যক্তিকে অভিযুক্তরা জুস খাইয়েছিলেন। সেই দয়ার পদক্ষেপের জেরে কোর্ট তাদের সাজা কমিয়ে দিল।
অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি, আক্রান্ত মধু নামের ওই আদিবাসী ব্যক্তিকে কলা ও জুস খাইয়েছিলেন, এমন তথ্য কোর্টে পেশ হয়। আর সেটাকে 'মানবিকতার' দিক হিসাবে তুলে ধরে গণপিটুনির মতো ঘটনায় সাজা কম হল ওই ২ অভিযুক্তের। যদিও এর আগে এসসিএসটি কোর্ট ওই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে জানিয়েছে, এই ঘটনা ‘নীতি পুলিশ'এর মতো কাজ। এই অভিযুক্তদের এমন কর্মকাণ্ডে কখনওই উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। এরপরই সিসিটিভিতে ধরা পড়ে ঘটনার দিনের দৃশ্য। সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় নির্যাতিতকে কলা আর জুস খাওয়াচ্ছেন দোষীরা। সেটিকে মানবিকতার দিক হিসাবে তুলে ধরে কোর্ট জানায়, এই দোষীদের ফের একবার সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। কোর্ট বলছে,'প্রতি সন্ন্যাসীর একটি পূর্ব সময় রয়েছে, আর প্রতি পাপীর একটি ভবিষ্যৎ রয়েছে'। সেই মর্মেই এই সাজার পরিমাণ কমতির দিকে যাওয়ার সপক্ষে বার্তা দেন এই ব্যক্তিরা।
(মা সুধার পদ্মসম্মান সমারোহে ব্রিটেনের 'ফার্স্ট লেডি' অক্ষতাকে ঘিরে কী ঘটল? )
(কুড়ুল হাতে স্কুলে হামলা ব্যক্তির! আক্রমণে মৃত ৪ শিশু, আহত ৫, ত্রস্ত ব্রাজিল )
('তাজমহল ভাঙা' র ডাক বিজেপি বিধায়কের, প্রশ্ন মুমতাজের প্রতি শাহজাহানের প্রেম নিয়ে )
এদিকে, স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটার রাজেশ মেনন এই রায় নিয়ে বিন্দুমাত্র খুশি নন। তিনি জানান যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। তিনি বলছেন, ‘ওঁদের জেলের সাজা পাওয়া উচিত ছিল’। এদিকে, আক্রান্ত মধুর পরিবার এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হতাশ। তাঁরা বলছেন,' আমরা সন্তুষ্ট নই এই সাজায়। কোর্টের তরফে ব্যর্থতা রয়েছে। কোর্ট সম্ভবত বোঝেইনি যে কী ঘটেছে। কীভাবে তাঁকে (মধু)কে মারধর করা হয়েছে, কীভাবে তাঁকে জঙ্গল থেকে বের করা হয়েছে।'
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক