দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা বিলি করার অভিযোগ তুলল আম আদমি পার্টি। পশ্চিম দিল্লির প্রাক্তন সাংসদ পরবেশ ভার্মার বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা বিলি করে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে আপ। দিলের মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। এ বিষয়ে সদর দফতর থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে পরবেশকে টাকা বিল করার বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিয়ো সামনে আনেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিধানসভা ভোটে ৩৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল আপ, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কে?
অতিশী অভিযোগ করেছেন, ভার্মা উইন্ডসর প্লেসে তাঁর বাসভবন থেকে ভোটারদের নগদ টাকা বিলি করেছেন। মহিলাদের নগদ ১,১০০ টাকা দেওয়া এবং রেজিস্ট্রেশন ফর্ম সহ ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি নেতা টাকা বিলি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, দিল্লি পুলিশ এবং ইডিকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লি হল আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্বাচনী এলাকা। যদিও বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভার্মা। তিনি নিজের এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ভার্মার বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ এনেছেন। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই লোকেরা প্রত্যেক ভোটারকে ১,১০০ টাকা করে দিচ্ছে এবং বিজেপিকে দলকে ভোট দিতে বলছে। আপনার মতো বিশ্বাসঘাতক ছেলের জন্য বাবাও লজ্জিত বোধ করবেন।’ প্রসঙ্গ পরবেশ ভার্মার বাবা সাহেব সিং ভার্মা ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কেজরিওয়াল আরও লেখেন, ‘সর্বত্র মানুষ আমাকে বলেছে যে এই লোকেরা প্রকাশ্যে ভোট কিনছে। তারা একটি ভোটের জন্য ১,১০০ টাকা করে দিচ্ছে। তবে মানুষ বলেছে টাকা নেবে কিন্তু ভোট দেবে না। সূত্র অনুযায়ী, বিজেপি পরবেশ ভার্মাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করতে পারে। দিল্লির মানুষ কি এমন একজনকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইবেন?’ তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপ প্রধান।
এদিকে, অতিশী দাবি করেছেন ভার্মার বাড়িতে কোটি কোটি টাকা আছে। দিল্লি পুলিশ, কমিশন এবং ইডির উচিত এখনই তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা। তিনি জানান, এবিষয়ে আমরা পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন।
তবে অভিযোগ খণ্ডন করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি পালটা আপকে নিশান করেছে বলেছেন, ‘আমি খুশি যে কেজরিওয়ালের মতো মদ বিতরণ করছি না। আমি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের টুইট দেখেছি এবং দিল্লির অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স শুনেছি।’ তিনি জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে তাঁর বাবা রাষ্ট্রীয় স্বাভিমান সংস্থা মানুষকে সাহায্য করার জন্য শুরু করেছিলেন। গুজরাটে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দুটি গ্রাম এবং ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংস হওয়া ওড়িশার চারটি গ্রামে এই সংস্থা আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ আমি খুব ভাল অনুভব করছি যে মুখ্যমন্ত্রী এবং কেজরিওয়াল আমরা যে কাজ করছি তার প্রশংসা করছেন।’