কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকে চাকরি করেন তিনি। বয়স ৪৭ বছর। পেশায় বিজ্ঞানী। নাম দেবেন্দ্র বারলেওয়ার। এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য তাঁর সফল কিডনি প্রতিস্থাপন হল। এনিয়ে দেবেন্দ্রর শরীরে পাঁচটি কিডনি রয়েছে বলে খবর। তবে তার মধ্যে মাত্র একটি কার্যকরী রয়েছে।
এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য কিডনি প্রতিস্থাপন হল তাঁর। এক কৃষকের ব্রেন ডেথ হয়েছিল। তারপর তাঁর পরিবার তাঁর অঙ্গ দান করার ব্যাপারে সম্মত হন।
কীভাবে পাঁচটি কিডনি তাঁর শরীরে এল?
সূত্রের খবর, তাঁর শরীরের তিনটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। অর্থাৎ অন্যের দান করার মাধ্যমে তিনটি কিডনি এসেছিল তাঁর শরীরে। তবে অনেকের মতে এটা একটা বিরল ঘটনা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয় প্রতিস্থাপনের বিষয়টি অত্যন্ত বিরল। কারণ তিনবারের জন্য কিডনির ম্যাচিং হওয়ার বিষয়টি বিশেষ শোনা যায় না।
এমনকী তৃতীয়বারের জন্য় কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে শরীরে আলাদা জায়গা থাকা দরকার। ফরিদাবাদের চিকিৎসকরা সেই কিডনির জন্য় আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তৃতীয় যে কিডনি সেটা ডানদিকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আগের একটি প্রতিস্থাপিত কিডনি ও শরীরের মধ্য়ে থাকা একটি কিডনির মাঝে এই নতুন কিডনি বসানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। দিনের পর দিন ধরে তাঁর ডায়ালিসিস করা হত। সেই ২০১০ সাল থেকে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তাঁর প্রথম কিডনিটি দিয়েছিলেন তাঁর মা।
সেই কিডনি প্রায় ১ বছর কাজ করেছিল। এরপর নতুন করে ডায়ালিসিস করতে হয়। এরপর ২০১২ সালে ফের তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়। সেই সময় তাঁর এক আত্মীয় কিডনি দান করেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত সেই কিডনিতে কাজ হচ্ছিল। এরপর তাঁর কোভিড হয়। এরপর তাঁকে ফের ডায়ালিসিস করতে হয়। সেই সময় কোনও জীবন্ত দাতা পাওয়া যায়নি। সেই সময় ২০২৩ সালে এক মৃত ব্যক্তির কিডনি বিজ্ঞানীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অমৃতা হাসপাতালের ইউরোলজির প্রধান ডঃ অনিল শর্মা গোটা অপারেশন পর্বটি পরিচালনা করেন। এক ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হয়েছিল। তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় ওই বিজ্ঞানীর শরীরে। চার ঘণ্টা ধরে এই অপারেশন করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে অপারেশন। তবে অপারেশনের পরে রোগীর ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হয়নি।