উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এখন পর্যন্ত ১১ জন বাঙালি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন পুলিশ, বায়ুসেনা ও আইটিবিপির জওয়ানরা। ট্রেকিংয়ে গিয়ে যাঁদের মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে আছেন কালীঘাটের শুভায়ন দাস, হরিদেবপুরের বাসিন্দা রিচার্ড মণ্ডল, তনুময় তেওয়ারি, হরিনগরের বাসিন্দা অনিতা রাওয়াত, নেপালগঞ্জের বাসিন্দা বিকাশ মাকাল, সৌরভ ঘোষ। জানা যাচ্ছে, তনুময়ের মামা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উল্লেখ্য, পুজোর সময়ে লামখাগায় ট্রেক করতে যায় ১৭ জনের দলটি। তুষারধসের কারণে গত ১৮ অক্টোবর তাঁরা পথ হারান। গত ২০ অক্টোবর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তল্লাশি শুরু করে। বায়ুসেনার তরফেও উদ্ধারকাজে হাত লাগানো হয়। উল্লেখ্য, একটানা ভারী বৃষ্টি, ধস, হড়পা বান এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে উত্তরাখণ্ডে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন। হিমাচলপ্রদেশে থেকে একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০–এর কাছাকাছি চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের কাছে যে তালিকা রয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে ১৫০ জন পর্যটক উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেই সব পর্যটকদের কীভাবে দেহরাদুন বা দিল্লিতে নিয়ে আসবে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে যে সব অভিযাত্রীদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের দেহ কবে এই রাজ্যে এসে পৌঁছোবে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।