শীত মরশুমে অলস্য অনেক বেড়ে যায়। যার কারণে মানুষের চলাচল কমে যায় এবং দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে। শীতের শেষের দিকে বেশিরভাগ মানুষের ওজন অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই মরশুমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়। বর্ধিত ওজন কমানো একটু কঠিন হলেও শীতের মরশুমে তা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু টোটকা আছে যা অবলম্বন করে আপনি শীতে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। জানি-
প্রথম টিপ- খাবার নিয়ন্ত্রণ
শীতের মৌসুমে পুষ্টিসমৃদ্ধ, উষ্ণ খাবার খান তবে কতটুকু খাবেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনি যখন খাচ্ছেন, তখন কতটা খাচ্ছেন সেদিকে যেমন নজর রাখতে হবে তেমনই তার পুষ্টিগুণের দিকে, ক্যালোরির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শীতের মাসে শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পর্যাপ্ত পুষ্টির দিকে মনোনিবেশ করুন। খবারের কতটা অংশ খাবেন, তা মেপে নিতে বড় প্লেটের পরিবর্তে ছোট প্লেট ব্যবহার করুন।
দ্বিতীয় পরামর্শ- সক্রিয় থাকুন
ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর আলস্যে ভরে ওঠে। যার কারণে শরীরের নড়াচড়া অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান বা কমাতে চান, তাহলে আপনাকে সাহসের সাথে বিছানা থেকে উঠতে হবে সঠিক সময়ে। আপনি যদি প্রতিদিন এটি করতে না পারেন তবে সপ্তাহে ৩-৫ দিন কিছু ধরণের শারীরিক কার্যকলাপ করুন। এটি আপনাকে ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করবে।
তৃতীয় পরামর্শ- ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস খান
শীতের মরশুমে ভাজা খাবার খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই সময়ে অনেক মৌসুমি ফল পাওয়া যায়, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং কম ক্যালরি থাকে। এই ফলগুলি খেলে আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকে এবং আপনি কোনও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
চতুর্থ পরামর্শ- একটি খাদ্য গ্রহণ করুন
শীতকালে ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ জলখাবারে জন্য অস্বাস্থ্যকর জিনিস খেতে শুরু করে। যা স্থূলতা বাড়াতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে পুষ্টিকর, উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খান। ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে, আপনার খারাপ খাবার খাওয়ার তাগিদ কমায়। প্রতিদিনের খাবারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে আপনার খাবারের আইটেমগুলি আগে থেকেই ঠিক করা উচিত। এতে করে আপনি ভুল খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য সাধারণ মান্যতাধর্মী। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। )