ধুনুচি নাচে মেতে উঠলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তাও আবার দুর্গাপুজোর আসরেই। দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে অন্যতম প্রধান দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয় প্রতি বছর। সেই মণ্ডপেই এবার দেখা গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে। দুর্গাপুজোর শেষ তিনদিন আরতির সময় ধুনুচি নাচ হয়। এই দিন তিনি থাকার সময় আয়োজন হয়েছিল আরতির। তাতেই ধুনুচি নাচে যোগ দিলেন এরিক।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হলেও এরিক গারসেটিকে খুব ভারিক্কি ভাব নয় তাঁর । বরং দিলখোলা হয়েই বিভিন্ন স্থানে তাঁকে দেখা যায়। নিজের এক্স প্রোফাইলে ( যা আগে টুইটার ছিল) নিয়মিত নানা অভিজ্ঞতার ভিডিয়ো শেয়ার করেন এরিক। এর আগে কলকাতায় এসে ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিয়েছেন তিনি। আবার বঙ্গভবনে চেটেপুটে বাঙালি খাবার খেতে দেখা গিয়েছে এরিককে। এবার তাঁকে দেখা গেল ধুনুচি নাচে। পুজো উপলক্ষে তিনিও বেরিয়ে পড়েছেন। মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়েছেন এরিক। কলকাতার বাইরে যে পুজোগুলি হয়, তার মধ্যে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজো বেশ বিখ্যাত। সেই পুজোতেই ধুনুচি নাচ নাচতে দেখা গেল তাঁকে।
এই দিনের ভিডিয়োতে দেখা যায়, তাঁকে মণ্ডপে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। বরণডালা দিয়ে তাঁকে বরণ করা হয়। এরপরই ভিডিয়োতে দেখা যায় তাঁর নাচ। একটি ধুনুচি তুলে নিয়ে ঢাকের তালে তালে পা মেলাতে শুরু করেন তিনি। একজায়গায় দাঁড়িয়ে নয়, ধীরে ধীরে লোকজনের মধ্যে পৌঁছে যান এরিক। এর পর তাঁকে মুখে ধুনুচি নিয়ে নাচতে থাকেন তিনি। নাচের পর ঝালমুড়ি খেতে এগিয়ে যান রাষ্ট্রদূত। মুড়ি মাখানোর পর সেটি খেয়ে প্রশংসাও করেন। চিত্তরঞ্জন পার্কের অনুষ্ঠানের ভিডিয়োও করেন এরিক। এর পর অবশ্য আবার খাবারের দিকে দেখা যায় এই খাদ্যরসিককে। এবারের আইটেম ছিল বিরিয়ানি। প্রসঙ্গত, খাবারের বিভিন্ন ভিডিয়ো ব্লগই তার প্রোফাইলে বেশি। আর পুজো মানেই তো খাওয়া। ফলে খাওয়ার ঝলক থাকবে না তা কি হয়! সব মিলিয়ে পুজো যে বেশ ভালো কাটাচ্ছেন এরিক, তা বোঝা যায়।
ইতিমধ্যেই ভিডিয়োটি ১২ হাজারের বেশি মানুষ লাইক করেছেন। কমেন্টও করেছেন বহু নেটিজেন। এরিককে ভারতীয় উৎসবে আনন্দ করতে দেখে আপ্লুত অনেকেই। ভারতের উৎসবের আনন্দের দিকটির কথাও বলেন অনেকে। উৎসব যে সবাইকে এক করে দেয় সে কথা উঠে আসে কমেন্টে।