শীতে অনেকেরই নানা শারীরিক সমস্যা হয়। বিশেষ করে যাঁদের বাতের বা হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা আছে, তাঁদের এই ব্যথা শীতে বেড়ে যেতে পারে। এমনকী কোথাও চোটআঘাত লাগলেও শীতে সেই ব্যথা মারাত্মক আকার নিতে পারে। শীতে ব্যথা বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, এর কারণ শীতে শরীর শুকিয়ে যায়। পেশি নমনীয়তাও কমে। বিশেষ করে যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের এই সমস্যা আরও বেশি করে হয়। কারণ বয়স বাড়লে পেশির নমনীয়তা আরও কমে।এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কী করে? কয়েকটি সহজ রাস্তা বলছেন চিকিৎসকরা।ভালো গরম জামা পরুন: এই সময়ে যতটা পারবেন শরীর গরম রাখুন। তাতে পেশির নমনীয়তা বাড়বে। সেক্ষেত্রে গাঁটের ব্যথা বা আঘাত লাগার ব্যথার পরিমাণ কমবে।শরীরচর্চা করুন: কম বয়সিরা এই সময়ে ভালো করে এক্সারসাইজ বা যোগাসন করুন। তাতে পেশির নমনীয়তা বাড়বে। বেশি বয়সে এই ধরনের যোগাসন বা শরীরচর্চা করতে অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাল্কা ব্যায়াম করুন। তাতে ব্যথা কমবে।ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: ওজন যত কম হবে, হাড়ের সংযোগস্থলগুলিতে চাপ কম পড়বে। তত ব্যথার আশঙ্কা কমবে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করে সেটি করা গেলে ভালো, নাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাবারের মাত্রা ঠিক করুন।জল খান বেশি করে: পেশির ব্যথা বা গাঁটের ব্যথার অন্যতম কারণ শরীর শুকিয়ে যাওয়া। শীতে বেশি করে জল খান। তাতে এই ধরনের ব্যথা কমবে। বেশি করে ফল খান। তাতেও শরীর আর্দ্র থাকবে।সেঁক দিন: ব্যথার জায়গায় সেঁক দিলে, সেখানে উত্তাপ বাড়ে। তাতে ব্যথা কমে। তবে সকলের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজ করে না। তাছাড়া সকলের জন্য এটি ভালোও নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথার জায়গায় সেঁক দিন। তাতে ব্যথা কমবে।