গ্রীষ্মকালে গরম আর আর্দ্রতা যখন চরমে ওঠে, তখন অনেকেরই ঘামাচির সমস্যা হয়। এই সময়ে ত্বকে লালচে ছোট ছোট ফোস্কা বা গুটি দেখা যায়, যা চুলকানি এবং জ্বালাভাবের কারণ হয়। অনেকেই এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য ওষুধ বা ক্রিমের আশ্রয় নেন। তবে প্রাকৃতিক উপায়েও ঘামাচির থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর সেই দিক থেকে আমলকি হতে পারে এক কার্যকরী সমাধান।
কেন আমলকি উপকারী?
আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে এবং দ্রুত আরাম দেয়। এছাড়া এটি শরীর ঠান্ডা রাখে, হজমেও সহায়ক।
ঘরোয়া আমলকির মাস্ক তৈরির পদ্ধতি
১। টাটকা আমলকি পেস্ট
২-৩টি টাটকা আমলকি নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। বীজ ফেলে দিয়ে খোসাসহ ব্লেন্ড করে পেস্ট বানান। ঘামাচির স্থানে সরাসরি এই পেস্ট লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার ব্যবহার করলে উপকার মিলবে।
২। আমলকি গুঁড়ো ও মধু মাস্ক
এক চামচ শুকনো আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ মধু মেশান। হালকা জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগান
শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে ঘামাচি কমে যাবে।
৩। আমলকি গুঁড়ো ও মুলতানি মাটি
এছাড়া ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ দূর করতে মুলতানি মাটির সঙ্গে আমলকি পাউডার মিশিয়ে মুখে মিনিট কুড়ি মাখিয়ে রেখে দিন। হাল্কা উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন।
৪। আমলকি গুঁড়ো ও পেঁপে
পেঁপে বেটে তার সঙ্গে আমলকি মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইয়ের জুটি ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি মাখতে পারেন।
ঘামাচি কমাতে হালকা, সুতির পোশাক পরুন এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখুন। রোদ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। ঘামাচির মতো সাধারণ সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান জানলে ও মানলে, অনেক ওষুধ ছাড়াই মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। আমলকি ব্যবহার করে একবার চেষ্টা করেই দেখুন।