World AIDS Day: কেন এইডস ভ্যাকসিন দিবস পালন করা হয়? কেন হয় এই রোগ? কীভাবে মানুষের মধ্যে ছড়াবেন সচেতনতা? জানুন।
Ad
কেন এইডস ভ্যাকসিন দিবস পালন করা হয়?
সমাজ যতই উন্নত হয়ে যাক না কেন, এখনও কিছু কিছু ব্যাপারে মানুষ রয়েছে অনেকটাই পিছিয়ে। এই ধরুন যেমন পিরিয়ড নিয়ে এখনও মানুষ কথা বলতে চায় না, তেমনি কথা বলতে চায় না এইডস-কে নিয়ে। এই রোগটি নিয়ে আজও মানুষের মনে বহু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, যা থেকে মানুষকে বের করার জন্যই পালন করা হয় বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস।
কবে পালন করা হয়?
প্রতিবছর ১৮ মে পালন করা হয় বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস।
এইচআইভি এমন একটি রোগ, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ৩৮.৪ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এইচআইভি রয়েছে, যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ আফ্রিকান অঞ্চলে বসবাস করে। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে এই রোগটি। মূলত এই রোগটি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই পালন করা হয় বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস।
এই দিনটি তাৎপর্য কী?
এইডস এমন একটি রোগ, যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে মানুষ আজও লজ্জা পায়। শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হলেই যে এইডস হয় তা কিন্তু নয়, কোনও ধারালো পদার্থের আঘাতে যদি আপনার শরীরের কোথাও ক্ষত সৃষ্টি হয়, সেই ক্ষত থেকেও তৈরি হতে পারে এই রোগ। এই রোগটি নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু কুসংস্কার রয়েছে, যার ফলে কোনও ভাবেই এই রোগটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। সকলে মিলে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যেই এই দিনটি পালন করা হয়।
প্রথম ১৯৯৮ সালে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। এই দিনে এইডস ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, এই মহামারীটি নির্মূল করে দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচার করার অঙ্গীকারও করা হয় এই দিনে। তারপর থেকেই প্রতিবছর ১৮ মে পালন করা হয় বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস।
আপনি কীভাবে পালন করবেন এই দিনটি?
প্রতিবছর এই দিনে একটি ক্যাম্প ওপেন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে এই দিনটি পালন করতে পারেন আপনি। এছাড়া পতিতাপল্লীতে গিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এটি যে শুধুমাত্র একটি রোগ, কোনও লজ্জা নয়, এই কথাটাই সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।