বর্ষাকাল মানেই সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া। বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে, জলাজমি ও গাছপালা থাকা এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। এই সময় সাপের কামড় খেয়ে অনেকে মারাও যান। সম্প্রতি প্রাথমিকের পাঠ্য বইয়ের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সাপে কামড়ালে ক্ষতস্থান বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বইতে, যা আদতে করা উচিত নয়। কিন্তু কেন করা উচিত নয়?
আরও পড়ুন - নুনের সোডিয়াম থেকে বাড়ছে নানা রোগ, স্বাস্থ্যকর নুন খাওয়াতে নয়া উদ্যোগ নিল ICMR
সাপে কামড়ালে কেন বাঁধন দেব না?
জাতীয় টাস্ক ফোর্সের পরামর্শ থেকে এই বাঁধন দেওয়ার পরামর্শ বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোনও কাপড় বা গামছা দিয়ে বাঁধন দিলে ওই অংশে রক্ত ঠিকভাবে পৌঁছায় না। ফলে অংশটি ফুলে যায়। সাপে কাটার জন্য ফুলেছে না বাঁধনের জন্য, সেটা বুঝতে বুঝতেই গ্যাংগ্রিন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই কাপড় দিয়ে পা বা হাত বা ক্ষতস্থান বেঁধে রাখতে বারণ করা হয়।
আরও পড়ুন - দেশজুড়ে বাড়ছে ওবেসিটি আর অবসাদ, সুস্থ হয়ে ওঠার টোটকা দিলেন রাষ্ট্রপতি
সাপে কামড়ালে তাহলে কী করব?
- সাপে কামড়ালে প্রথমেই রোগীকে সাহস জোগাতে হবে যে তাঁর কিছু হবে না। গ্রামবাংলার অধিকাংশ সাপ নির্বিষ হয়। খুব অল্পসংখ্যক সাপ বিষধর। সেই সাপও কামড়ানোর সময় ঠিকভাবে বিষ ঢোকাতে পারে না। ফলে রোগী বাঁচবেন না, এমন ধারণা ভুল। এই কথাই বোঝাতে হবে। তাঁকে শান্ত রাখতে হবে। রক্তচাপ তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- রোগীকে ঘুমোতে দেওয়া যাবে না। জাগিয়ে রাখতে হবে। রোগীকে শোওয়ানো যাবে না। আবার দাঁড় করানোও যাবে না। যে অংশে কামড়েছে সেই অংশ বেশি নাড়াচাড়া না করাই ভালো।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। নিকটবর্তী সব হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন বিনামূল্যে পাওয়া যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে প্রথমেই ইনজেকশন দিতে হবে ওই ব্যক্তিকে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।