দীর্ঘদিনের দাম্পত্য মানেই সম্পর্ক বেশ পোক্ত। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ সুন্দরভাবে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাম্পত্যও শিথিল হতে পারে। দাম্পত্যের মধ্যে অশান্তি হতে পারে। অসুখীও হতে পারে দাম্পত্য়। সাধারণত কিছু কিছু অভ্যাসের জেরে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এই অভ্য়াসগুলি পাল্টাতে পারলে সম্পর্ক মজবুত হয়। পাশাপাশি সুখশান্তিও বজায় থাকে।
সম্পর্কের ক্ষতি করে যে অভ্যাসগুলি
রগচটা স্বভাব- সবসময় খিটখিটে মেজাজ, ছোটখাটো সমস্য়া হলেও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠা সম্পর্কের জন্য মোটেও ভালো নয়। প্রথম প্রথম সঙ্গী এসব সহ্য করলেও পরের দিকে এটি তাঁর মনখারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় সংসারে অশান্তি জিইয়ে রাখে খিটখিটে মেজাজ।
আরও পড়ুন - মর্জিমতো না চললেই অশান্তি করে বাড়িতে? সন্তানের উপর লাগাম টানতে এগুলি মেনে চলুন
সঙ্গীকে সময় কম দেওয়া - সঙ্গীকে সময় কম দিলে সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে ধীরে ধীরে। সঙ্গীর সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও তা শোনা উচিত। এতে তার মনের ভার অনেকটা লাঘব হয়। এই সময়টুকু না দিলে সঙ্গীর মন খারাপ হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যকে মনের কথা জানান। এতে শেষমেশ সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার আশঙ্কাই বাড়ে।
নেশা - নেশা অনেক সময় দাম্পত্যের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। নেশা বহু ক্ষেত্রে মানুষকে অসামাজিক করে তোলে। অসামাজিকের অর্থ তিনি সেই নেশার সময় কারও সঙ্গে মেলামেশা করতে পারেন না। তাই সঙ্গীর অপছন্দ এমন নেশা এড়িয়ে চলাই ভালো। ধীরে ধীরে চেষ্টা করলে সব নেশাই ছাড়িয়ে ফেলা সম্ভব। এতে আদতে সম্পর্কেরই মঙ্গল।
আরও পড়ুন - সদ্য়জাতের ওজন কম? শিশুর ওজন বাড়াতে হলে খেয়াল রাখুন এই দিকগুলিতেও
বোঝাপড়া ঠিক রাখা - বোঝাপড়া দাম্পত্যের বড় চাবিকাঠি। তাই দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিক আছে কিনা তার দিকে নজর রাখুন। হতেই পারে কখনও কখনও বোঝাপড়ার স্থান দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সেই সময় সতর্ক হতে হবে। সম্পর্কের জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। সমস্যাগুলির সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে।