Omicron BF7 virus: কোভিডের নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন BF.7 ভাইরাস, কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে রোগীর

সাম্প্রতিককালে চিনে কোভিড বিস্ফোরণের জন্য দায়ী ওমিক্রন বিএফ৭ ভাইরাস। এবার ওমিক্রনের একই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত চারজনের খোঁজ পাওয়া গেল ভারতে। তবে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, এই নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং, আগের মতোই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে সবাইকে। এছাড়াও কোভিডের রোগ লক্ষণ দেখা দিলে নিয়ম মতো পরীক্ষা করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এখনও যাঁরা বুস্টার টীকা নেননি, তাদের টীকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এতে আগে থেকে ভাইরাসের অজানা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।দেশ জুড়ে টীকাকরণ প্রকল্প চলার ফলে করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে নতুন করে চিনের উর্দ্ধমুখী করোনা গ্রাফ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সারা বিশ্বে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই নতুন প্রকৃতির ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে চারজন।নতুন ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে কী একই লক্ষণ দেখা যায়? বিশেষজ্ঞদের কথায়, কোভিডের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। তবে সেগুলি বাদেও বেশ কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যেতে পারে নতুন ভাইরাসের আক্রমণে। লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।কোভিডের সাধারণ লক্ষণ:কোভিডের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশি, প্রচণ্ড জ্বর, গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসের সমস্যা। ভাইরাস সংক্রমণের গোড়া থেকেই এই লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে রোগীর শরীরে।অস্বাভাবিক লক্ষণ:কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর সাধারণ লক্ষণ হলেও সবসময় এগুলি নাও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় শুধু বমি, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। ঘন ঘন বমি, মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা বোধ করার মতো লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।গায়ে র্যাশ বা ফুসকুড়ি হওয়া কোভিডের আরেকটি অস্বাভাবিক লক্ষণের মধ্যেই পড়ে। হঠাৎ করেই গায়ে লাল র্যাশ দেখা দিলে এখন সতর্ক হওয়া উচিত। এছাড়াও, গায়ে জলভরা ফুসকুড়িও হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে দরকারি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কখনও কখনও পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে। চিকিৎসকের কথায়, রোগীর হ্যালুসিনেশন বা অপ্রকৃতিস্থ কথাবার্তা বলার লক্ষণও দেখা দিতে পারে। ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেললে এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাদের এই সময় সতর্ক হওয়া উচিত। ভাইরাসের আক্রমণে হঠাৎ করেই রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে পারে।