মহরম ইসলামিক হিজরি সনের প্রথম মাস। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র একটি মাস মহরম। এই মাসের দশম দিনকে 'আশুরা' বলা হয়, যা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
মহরম ২০২৫ কবে?
২০২৫ সালে মহরম পালিত হবে ৬ জুলাই বা ৭ জুলাই। ইসলামিক ক্যালেন্ডার চাঁদের উপর নির্ভর। তাই এই তারিখ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে মহরমের তারিখটা স্থির হয়।
মহরমের ইতিহাস
মহরম মাসটি ইসলাম বিশ্বের কাছে শোক ও ত্যাগের মাস হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে এর দশম দিন আশুরা। কারণ এই দিনেই ঘটে গিয়েছিল কারবালার মর্মন্তুদ ঘটনা।
আরও পড়ুন - উইকেন্ড ওয়েডিং কি আপনার জন্য বেস্ট? দেখে নিন দুই ধরনের বিয়ের আসল তফাতটা
কারবালার মর্মন্তুদ ঘটনা
ইসলামের মহানবী হযরত মহম্মদের দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে (৬১ হিজরি) তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি তাঁর পরিবার ও ৭২ জন সঙ্গী নিয়ে লড়াই করেন এবং শাহাদাত বরণ করেন। এই ঘটনাটি ১০ মহরম সংঘটিত হয়েছিল এবং এটি ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় শোকের দিন হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ইমাম হুসাইন-এর এই আত্মত্যাগ সত্য, ন্যায় ও ত্যাগের এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইসলামি নববর্ষের সূচনা
মহরম মাস দিয়ে ইসলামি হিজরি সনের সূচনা হয়। যদিও এটি নতুন বছরের সূচনা, তবে কারবালার ঘটনার কারণে এই মাসে কোনও আনন্দ-উৎসব পালন করা হয় না, বরং শোক ও আত্মজিজ্ঞাসায় কাটানো হয়।
আরও পড়ুন - জ্বর, সর্দির মতো ছোটখাটো রোগ লেগেই থাকে, সুস্থ থাকতে বিশেষ টিপস দিচ্ছেন চিকিৎসক
পবিত্র মাস
মহরম ইসলামের চারটি পবিত্র মাসের অন্যতম (অন্যগুলো হলো রজব, জিলকদ, জিলহজ)। এই মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ।
সাওম (রোজা) পালন
মহরম মাসে, বিশেষ করে আশুরার দিন এবং এর সঙ্গে ৯ বা ১১ তারিখ রোজা রাখার বিশেষ নিয়ম রয়েছে। রাসুলুল্লাহ আশুরার রোজা রাখতেন এবং মুসলিমদেরও রাখতে উৎসাহিত করেছেন। এই রোজা পালনকে বিগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে ধরা হয়।