গ্রিন টি, আদা চা, দুধ চা, পুদিনা চা এর মতো অনেক চায়ের কথা শুনেছেন, তবে এমন একটি চা রয়েছে যা দেখতে হুবহু শরবতের মতো। লাল রঙের এই চা পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই চা জবা ফুল থেকে তৈরি করা হয়। এই ভেষজ চা শুধু সর্দি, কাশি, জ্বর থেকেই রক্ষা করে না, বরং অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এই চা ক্যাফেইন মুক্ত এবং এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে শীতকালে এই চা পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যা হয় না। এটি পান করলে অলসতাও দূর হয়। এই ভেষজ চা ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
আরও পড়ুন: আপনিও কি চায়ের সঙ্গে এইসব খাবার খান? অজান্তেই হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
স্ট্রেস কমায়: এই চায়ের রঙ লাল। তাই এটা দেখলেও শরীরে ডোপামিন নামক হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানুষকে খুশি করে। ক্লান্তি দূর হয় এবং সুখের অনুভূত হয়। মানসিক চাপও কমে। তবে হিবিস্কাস চা দিনে দু'বারের বেশি পান করা উচিত নয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এই চা উচ্চ রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী। হিবিস্কাস টিতে H. sabdariffa নামক রাসায়নিক থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের আগে থেকেই লো ব্লাড প্রেসার, তাদের এই চা এড়িয়ে চলা উচিত। এই চায়ে অ্যান্টি-কোলেস্টেরল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্তের শর্করাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে উপস্থিত H. rosasiensis রাসায়নিক খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণও কমায়। যাঁদের হাই কোলেস্টেরল বা হাই ব্লাড সুগার আছে তাঁরা প্রতিদিন এই চা পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে সারা রাতে রুম হিটার চালিয়ে ঘুমাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনছেন মারাত্মক বিপদ!
ওজন নিয়ন্ত্রণ: হিবিস্কাস চায়ে খুব কম ক্যালরি থাকে, এটি শরীরের চর্বিও দ্রুত কমায়। ব্যায়ামের পাশাপাশি এই চা পান করলে স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই চা পানের পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে: প্রায়ই মেনোপজের আশেপাশে, মহিলারা ক্লান্তি, বিষণ্নতা, শরীরে ব্যথা -সহ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। মেনোপজের সময় এই হিবিস্কাস টি খাওয়া যেতে পারে, এতে মহিলাদের মুড সুইং কমে। একই সময়ে, অনেকের প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের সমস্যা দেখা যায়। হিবিস্কাস টি এক্ষেত্রে কার্যকরী।
তবে হিবিস্কাস টি সবার জন্য উপকারী নয়। এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এই চা পান করলে পেটে ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। যাঁদের লিভারে সমস্যা রয়েছে তাঁদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত। যে মহিলারা গর্ভবতী বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাঁদেরও এই হিবিস্কাস চা এড়িয়ে চলা উচিত।