বর্ধমান মহাবীর জৈন, এই জৈন ধর্মের ২৪ তম তীর্থঙ্কর। তাঁকে ঘিরেই পালিত হয় মহাবীর জয়ন্তী। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটি চৈত্র মাসে পালিত হয়। চলতি বছরে মহাবীর জৈনের জন্মজয়ন্তী পড়ছে ১০ এপ্রিল। ২০২৫ সালের মহাবীর জয়ন্তীর আগে আজ দেখে নিন তাঁর কিছু বিশেষ বাণী। যে বাণী জীবনের নানান সময়ে চলার পথে সঙ্গী হলে, যেকোনও চ্যালেঞ্জ পার করা যায়।
মহাবীরের জীবন:-
জানা যায়, বিহারের কুন্দগ্রাম এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলে মহাবীর। জন্মসময়ে বর্ধমান হিসাবে ছিল তাঁর পরিচিতি। বিহারের রাজ পরিবারে রাজা সিদ্ধার্থ ও রানি ত্রিশলার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবে রাজ বিলাস ছেড়ে তিনি পরবর্তীতে ‘কেবলজ্ঞান’র পথে হাঁটেন। আধ্যাত্মিক দিকে পথ চলা শুরু হয় তাঁর। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তিনি অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য, অপরিগ্রহের কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, মহাবীর জয়ন্তীতে জৈন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর আরাধনা করেন। ১০ এপ্রিল ২০২৫ সালে পালিত হতে চলেছে মহাবীর জয়ন্তী। চৈত্রর শুল্কপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই দিনটি পালিত হয়। দেখা যাক মহাবীরের কিছু অবিস্মরণীয় বাণী।
মহাবীরের বাণী:-
১) কোন প্রাণী বা জীবকে আঘাত, গালিগালাজ, নিপীড়ন, দাসত্ব করানো, অপমান, যন্ত্রণা দেওয়া, নির্যাতন বা হত্যা করা অনুচিত।
২) রাগ আরও রাগের জন্ম দেয়, এবং ক্ষমা ও ভালোবাসা আরও ক্ষমা ও ভালোবাসার দিকে পরিচালিত করে।
৩) পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল আপনিই একমাত্র উপাদান নন।
৪) যদি তোমার প্রয়োজন না হয়, তাহলে জমিও না। হাতে থাকা সম্পদের আধিক্য আছে তা সমাজের জন্য, আর তুমিই এর ট্রাস্টি।
৫) নিজে বাঁচো, সকলকে বাঁচতে দাও, কাউকে আঘাত কোরোনা। জীবন সকলের কাছে প্রিয়।
৬) আনন্দেই হোক বা কষ্টেই হোক, সুখেই হোক বা দুঃখে, সকল প্রাণীকে সেই নজরেই দেখব, যেভাবে আমরা নিজেদের দেখি।
৭ ) অহিংসাই হল সবচেয়ে বড় ধর্মা।