তওতে ঝড়ের কারণে গির অভয়ারণ্যে উপড়ে পড়েছে একাধিক গাছ। রীতিমত তছনছ হয়ে গিয়েছে এই জঙ্গল। একাধিক সার্ভ করার পর জানা গিয়েছে তওতে ঝড়ে মোট ৩৫ লাখ গাছ ভেঙে পড়েছে না উপড়ে গিয়েছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে গুজরাটের উপকূলে যে বিধ্বংসী ঝড় আছড়ে পড়েছিল তার পরিণাম হচ্ছে এটা।
২০১৯ এর সেনসাস মতে গির অভয়ারণ্যে মোট ৩২৫-৩৫০ টি এশিয়াটিক সিং থাকে। মোট ১৪১২ স্কোয়ার কিলোমিটার এরিয়া জুড়ে এদের বাসস্থান। ফলে এই সিংহদের নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

কেন গির অভয়ারণ্যের সিংহদের নিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে?
মনে করা হচ্ছে যে বিপুল সংখ্যক গাছ এই অভয়ারণ্যে উপড়ে গিয়েছে সেগুলো যখন শুকিয়ে যাবে তখনই দেখা দেবে বিপদ। কারণ একবার এই শুকনো কাঠে যদি আগুন ধরে যায় তা ভয়াবহ চেহারা ধারণ করবে।
তাই এই উপড়ে যাওয়া গাছগুলোকে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত বলেই মনে করা হচ্ছে যেহেতু এখানে শুধুই সিংহ নয়, নীলগাই, ইত্যাদি পশুরাও থাকে। ফলে সকলেরই জীবন সংকট হতে পারে।
তবে এত কিছুর মধ্যেও একটা আশার আলো আছে। সিংহরা সাধারণত খোলা অঞ্চলেই থাকতে ভালোবাসে, যেমন সাভানা। তাই অনেকেই মনে করছেন এটা শাপে বর হল। একবারে এত গাছ উপড়ে যাওয়ায় সিংহদের আসা যাওয়ায় সুবিধা হল। তবে সব গাছ সরানো সম্ভব নয়, দরকারও নেই। যত গাছ উপড়ে গিয়েছে তার ৪০ শতাংশ পরিষ্কার করে দিলেই হবে বলে মনে করেন ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ এর সদস্য এইচএস সিং।
_1659931261914_1659931275803_1659931275803.jpg)
তওতে ঝড়ে ১৯৮২ সালে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের থেকেও বেশি সংখ্যক গাছ পড়েছে। সেই বছর ২৮.১০ লাখ গাছ উপড়ে গিয়েছিল ঝড়। এবার তার থেকে বেশ অনেকটাই বেশি সংখ্যক গাছ উপড়ে গেছে। প্রায় এক বছর লেগে গেল মোট কতগুলো গাছ পড়ে গেছে তার হিসেব করতে।
তাই এখন এই তওতে ঝড়ের ফলে যেমন একটা সূক্ষ্ম আশা দেখা গিয়েছে যে সিংহরা খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবে তেমনই যদি ঠিক ভাবে কিছু অংশ পরিষ্কার করা না হয় তাহলে কাঠগুলো শুকনো হয়ে গিয়ে দাবানল লেগে যেতে পারে।