মহামারীর পর থেকেই বড়দের তো বটেই, বাড়ির খুদে সদস্যদের মধ্যেও স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেছে অনেকটাই। এখন আবার পড়াশুনোও চলে অনলাইনে, তাই চেষ্টা করলেও স্ক্রিন টাইম কমানো যায় না কিছুতেই। তবে পড়াশোনার বাইরে আপনার সন্তান যাতে মোবাইলে আসক্ত না হয়, তার জন্য আপনার বাচ্চাকে রাখতে হবে অন্যভাবে ব্যস্ত। আজকে জানুন ঠিক কী কী উপায়ে আপনার বাচ্চাকে ব্যস্ত রাখলে সে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকবে না।
ড্রইং ও আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট: আপনার শিশু যখন বাড়িতে থাকবে তখন তাকে রঙিন দুনিয়ায় ব্যস্ত করে ফেলুন। হাতে দিয়ে দিন রং এবং তুলি। দিয়ে দিন রংবেরঙের কাগজ, আঠা। দেখুন কি সুন্দর ভাবে নিজের ছোট ছোট ভাবনাকে আঁকার খাতায় বা কাগজের ভাঁজে তুলে ধরেছে সে।
(আরো পড়ুন: নিমেষেই ভালো হয়ে যায় মন খারাপ, এই সব টিপস আমাদের জানা উচিত)
নাচ: নাচ শুরু একটি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি তা নয়, এটি ব্যায়ামও বটে। ভারতনাট্যম হোক অথবা ওয়েস্ট্র্যান, যে কোনও ধরনের নাচ আপনার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও প্রতিদিন নাচ করলে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের মধ্যে আপনি থাকতে পারবেন।
ক্যারাটে: যে কোনও বাচ্চাদের বিশেষ করে মেয়েদের ক্যারাটে শেখা ভীষণ জরুরী। মার্শাল আর্ট এমন একটি শিক্ষা যা আপনাকে সারা জীবন সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে। ক্যারাটে শেখার মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চাকে স্কিন টাইম থেকে দূরে রাখতে পারবেন অনেকটা।
সুইমিং: সুইমিং পুল হোক অথবা গঙ্গা, সাঁতার শেখা ভীষণ জরুরী একটি অ্যাক্টিভিটি। শুধু ভবিষ্যতের জন্য নয়, বর্তমানে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সাঁতার শিখে রাখা প্রয়োজন। আপনার শরীর সক্রিয় থাকার পাশাপাশি অনেকটা সময়ে জলে থাকার ফলে আপনার শিশু ক্লান্ত হয়ে যাবে এবং মোবাইল থেকে থাকবে দূরে।
(আরো পড়ুন: আমার পাঁজর ফেটে যেত'— জীবিত অ্যানাকোন্ডার খাবার হতে চেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ব্যক্তির)
বাস্কেটবল: আপনার সন্তান যদি বাস্কেটবল খেলতে আগ্রহী হয়, তাহলে আপনি আপনার নিকটবর্তী কোনও ক্লাবে বাস্কেটবলে ভর্তি করে দিতে পারেন। খেলাধুলার মধ্যে থাকলে মানসিক বিকাশের সাথে সাথে শারীরিক সুস্থতাতাও বজায় থাকবে আপনার সন্তানের।
ক্রিকেট: এখন আর আগের মতো মাঠ ঘাট নেই তাই বিকেল হলেই ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ক্রিকেট খেলতে বেরিয়ে পড়তে পারে না। তবে এখনও কিছু ক্লাব রয়েছে যারা বাচ্চাদের ক্রিকেট শেখান। আপনি চাইলে আপনার সন্তানকে এই খেলার সঙ্গে যুক্ত রেখে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিতে পারেন।