আয়ুর্বেদে এমন অনেক সবজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য আশ্চর্যজনক উপকারিতা প্রদান করে। এমনই একটি সবজির নাম হলো করলা। যদিও করলা স্বাদে তেতো, তবুও এটি স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। করলাতে জিঙ্ক, ফোলেট, আয়রনের মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, কখনও কখনও কেউ কেউ করলার সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে এর বীজের সাথে এর সজ্জা খাওয়া শুরু করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি করলে আপনার স্বাস্থ্যের উপকারিতা হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে? হ্যাঁ, যদি আপনিও এটি করেন, তাহলে একটু সাবধান থাকুন। করলা বীজ খেলে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হতে পারে তা জেনে নিন।
করলা বীজ খেলে এই ৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
- হজমের সমস্যা করলা বীজে উপস্থিত লেকটিন অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে কিছু লোকের হজমের সমস্যা হতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে বলি, লেকটিন হল এক ধরণের প্রোটিন, যার অতিরিক্ত ব্যবহার পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে যা হজম ব্যবস্থাকে বিরক্ত করে।
- অ্যালার্জি কিছু লোক করলা খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। এই ধরনের লোকদেরও করলা বীজ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। করলার বীজে ভিসিন থাকে, যা কিছু মানুষের মধ্যে সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। করলার বীজ খেলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, বা শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, ফোলাভাব ইত্যাদি অনেক সমস্যা হতে পারে।
- হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি রক্তে শর্করা কমাতে প্রায়শই করলার বীজ খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার করলার বীজ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ করলার বীজ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করার পরিমাণ কম) ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- গর্ভাবস্থায় সমস্যা গর্ভবতী মহিলাদের করলার বীজ খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে জরায়ুতে সংকোচন এবং অন্যান্য অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যা অকাল প্রসব বা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
- ওষুধের উপর প্রভাব: যদি করলার বীজ ডায়াবেটিসের ওষুধের সাথে খাওয়া হয়, তাহলে ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এবং শরীরে চিনির মাত্রা কমাতে পারে, যা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদি আপনি ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে করলার বীজ খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।