Ear pod Neckband Side Effects: কানের কীভাবে বারোটা বাজাচ্ছে ইয়ারপড, নেকব্যান্ড? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় এই নিয়ে আলোচনা করলেন ইনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিজয় ভাল্লা।
Ad
নয়া যন্ত্রে বিপদ বেশি?
প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই ইয়ারফোন আর হেডফোনের স্থান দখল করে নিয়েছে ইয়ারপড, নেকব্যান্ডের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্র। সাধারণ বাজারচলতি ইয়ারফোনের তুলনায় ইয়ারপড, নেকব্যান্ডের দাম বেশি নয়, যথেষ্ট বেশি। কিন্তু চড়া দামে বিক্রিত হওয়ার মতো সুরক্ষা কি এই যন্ত্রের রয়েছে? কানের কতটা ক্ষতি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের ফলে? সম্প্রতি HT বাংলার সঙ্গে আলোচনা করলেন ফর্টিস আনন্দপুর হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিজয় ভাল্লা।
চিকিৎসক ভাল্লার কথায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র হলেও ইয়ারপড, নেকব্যান্ড একই সিস্টেমে সাউন্ড তৈরি করে। পাশাপাশি এগুলি কানের পর্দার খুব কাছে বাজে। যার ফলে হেডফোন বা ইয়ারফোনের মতোই সমস্যা হতে পারে। এই বিশেষ যন্ত্রগুলির দাম বেশি মূলত ওয়ারলেস অর্থাৎ তারহীন বলে। এছা়ড়াও, ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক করে তোলা হয়েছে যন্ত্রগুলিকে। কিন্তু কানের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে যন্ত্রগুলিতে কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করা নেই। ফলে মানুষকেই এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
কানের কী কী সমস্যা হতে পারে, এই নিয়েও কথা বললেন চিকিৎসক ভাল্লা। তাঁর কথায়, শ্রবণশক্তি হারিয়ে যেতে পারে চিরকালের মতো। বয়স্ক ও শিশুদের এই সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বেশি।
মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে?
দীর্ঘদিন ধরে ইয়ারপড, নেকব্যান্ডের সাহায্যে বেশি জোরে শুনলে মানসিক সমস্যাও কি দেখা দিতে পারে? চিকিৎসক জানাচ্ছেন, বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই ধরনের সমস্যার আশঙ্কা থাকে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যথাযথ বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি এর। ইয়ারপড, নেকব্যান্ডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড কানের সমস্যা তৈরি করে? এক্ষেত্রেও বেশ কিছু গবেষণা হচ্ছে ও হয়েছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেই দাবি চিকিৎসকের।