বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে, একেবারে মেম সাহেব ভাইব দেবে, নতুন ট্রেন্ডে ব্লাশ করা হচ্ছে ট্যাটুর মাধ্যমে। আজকের দিনের অত্যাধুনিক বিউটি ট্রেন্ডে মশগুল সোশ্যাল মিডিয়া। দু-পাশের গালকে, ন্যাচারাল, গোলাপী চেহারা দেওয়ার জন্য ত্বকের নীচে বিশেষ উপায়ে রং লাগাচ্ছেন তরুণীরা। কয়েক মাস বা এমনকি সারা বছর ধরে স্থায়ী হবে এটি।
এই বিশেষ ট্যাটু করলে, আপনাকে প্রতিদিন ব্লাশও লাগাতে হবে না। কোনোরকম মেকআপের প্রয়োজন ছাড়াই তাজা, উজ্জ্বল লুক দেবে। নয়া দিল্লির একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভাউক ধীর বলেছেন যে এই ট্রিটমেন্ট আপনার ত্বকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আপনাকে ন্যাচারাল আভা দেবে। অর্থাৎ বৃষ্টি বা ঘামে রং গলে পড়বে না।
আরও পড়ুন: (Home Decor Tips: শীতের মরসুমে ঘর সাজান উষ্ণতার আমেজে! জেনে নিন সেরা ৫ টিপস)
কিন্তু এটা কি আদতে নিরাপদ
এই ট্যাটু ব্লাশ, কসমেটিক ট্যাটু হিসাবেও পরিচিত। এটি একটি সহজ পদ্ধতি, যেখানে ত্বকে অল্প পরিমাণে রঙ প্রয়োগ করা হয়। এটি আপনার গাল বা ঠোঁটে নরম, ন্যাচারাল চেহারা এনে দেয়। এই রং বেশিরভাগ মানুষের জন্যই নিরাপদ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হয়ে যায়।
পারস হেলথ গুরুগ্রামের ডাঃ মনদীপ সিং বলেছেন যে এই ট্রিটমেন্ট সাধারণত এক থেকে তিনি বছরের মধ্যে স্থায়ী হয়। তাঁর আরও দাবি যে এই ট্রিটমেন্টটি বিশেষ করে সেই ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রিয়, যারা প্রতিদিন কম মেকআপ করেই সুন্দর দেখাতে চান। যাইহোক, এই ট্যাটু কোনও সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে, ট্রিটমেন্টের জন্য, এফডিএ-অনুমোদিত পিগমেন্ট ব্যবহার করে এমন একজন এক্সপার্ট বেছে নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: (Life Hacks: আয়না সাফ করার পরেও জলের দাগ লেগে থাকে? এইভাবে মুছলেই ঝামেলা খতম)
তবুও কী কী ঝুঁকি থাকতে পারে
একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, ডাঃ অমিত বাঙ্গিয়া, এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন যে এর থেকে যদিও কোনও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া আসে না। তবে সেগুলি ঘটতে কতক্ষণ। তাই ট্রিটমেন্টের আগে প্রথমে একটি প্যাচ পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন
ট্যাটু ব্লাশ কিন্তু সবার জন্য সঠিক নয়। রোসেসিয়া, একজিমা বা ঘন ঘন ব্রেকআউটের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি এড়ানো উচিত। পদ্ধতির পরে, আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- ট্যাটু বিবর্ণ না হওয়া পর্যন্ত রেটিনল, এক্সফোলিয়েন্টস এবং স্কিন লেজারযুক্ত পণ্যগুলি থেকে দূরে থাকা।
- যাদের ত্বকের সমস্যা যেমন একজিমা বা সক্রিয় ব্রণ রয়েছে, তাঁদের সতর্ক হওয়া উচিত।
- ঝুঁকি কমাতে চিকিত্সার আগে রক্ত পাতলা করে এমন অ্যালকোহল এবং ওষুধগুলি এড়ানোও জরুরি।
কোন পদ্ধতিতে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়
নিয়মিত ট্যাটুর তুলনায় হালকা পদ্ধতিতে, কসমেটিক ট্যাটু করা হয়। ডাঃ ভাউক ধীর, একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, জানিয়েছেন যে ত্বকের উপরের স্তরগুলিতে হালকাভাবে প্রয়োগ করা হয় রং, যা হালকা গোলাপি আভা এনে দেয়। ত্বককে অসাড় করেই এই ট্রিটমেন্ট শুরু হয়। একটি সেশনে সাধারণত ২-৩ ঘণ্টা লাগে, এবং পুরোপুরি খাপ খাইয়ে নিতে ৫-১০ দিন লাগে। ট্রিটমেন্টের পর কিছুদিন পর্যন্ত, আপনি লালভাব, ফ্লেকিং বা সংবেদনশীলতা অনুভব করতে পারেন। ডাঃ ধীর বলেছেন যে একবার সবটা ঠিক হয়ে গেলেই, অত্যন্ত সুন্দর দেখাবে।
ট্যাটুর পর কী করতে হবে
এবার আপনার ত্বকের ভাল যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ ধীর যেমন যেখানে ট্যাটু করানো হয়েছে, সেই জায়গা সম্পূর্ণরূপে ঠিক না হওয়া পর্যন্ত মেকআপ বা স্কিনকেয়ার পণ্যগুলি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন। সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকেও আপনার ত্বককে রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইউভি রশ্মি রংকে দ্রুত বিবর্ণ করে দিতে পারে। রেজাল্টে খুশি না হলে, লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এটি অপসারণও করতে পারেন। তবে এটি করতে আবার বেশি খরচও হতে পারে। দীর্ঘ সময়ও লাগতে পারে।