একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, যে কোনও কোম্পানির ফ্রুট জুসের প্যাকেটে লেখা থাকে ১০০% ফলের রস। ফলের রস দিয়ে তৈরি করা হয়, এই কথাটি লেভেলে লেখা থাকে বলেই ফ্রুট জুস বিক্রি হয় রমরমিয়ে। তবে এবার থেকে আর লেখা যাবে না এই কথাটি, জানিয়ে দিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।
সম্প্রতি একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে FSSAI জানিয়েছে, যে সমস্ত ফ্রুট জুসের বিজ্ঞাপনে ১০০% ফলের রসের কথা বলা হয়, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও যে সমস্ত ফ্রুট জুসের প্যাকেটে লেখা থাকে, ১০০ শতাংশ ফলের রসের কথা, তাও অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে।
(আরো পড়ুন: মেয়ের বিয়ের জন্য প্রস্তাব চাই ধনী পরিবারের! ৩ লক্ষ টাকা ফি দিয়ে বসলেন বাবা)
২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই কাজ করতে হবে সমস্ত ফ্রুট জুস কোম্পানিকে। কিন্তু কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সম্প্রতি FSSAI - এর নজরে এসেছে, যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি নিজেদের ফ্রুট জুসকে ১০০% ফলের রস বলে দাবি করছে যা একেবারেই ঠিক নয়। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ২০১৮ সালের বিজ্ঞাপনের রেগুলেশন অনুযায়ী, কোনও ফ্রুট জুস কোম্পানি নিজেকে ১০০ শতাংশ ফলের রস বলে দাবি করতে পারে না।
নির্দেশিকায় আরো জানানো হয়েছে, যেখানে ফলের রসের প্রধান উপাদান জল, সেখানে ১০০% ফলের রসের কথা বলা একেবারেই বিভ্রান্তিকর। এই দাবি কিছুটা সীমিত ঘনত্বে বজায় থাকে কিন্তু তারপর আর এই দাবি করা যায় না। শুধু ১০০ শতাংশ ফলের রসের কথা বলা যাবে না তা নয়, ফলের রসকে যে পুনর্গঠিত করা হচ্ছে সে কথাও উল্লেখ করতে হবে।
(আরো পড়ুন: কুকুরছানাকে ডাস্টবিনের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন! মহিলার কাণ্ড দেখে ছি ছি করছে মানুষ)
FSSAI জানিয়েছে, ফ্রুট জুস তৈরি করতে গেলে যদি প্রতি কেজিতে ১৫ গ্রাম চিনি মেশানো হয় সেখানে তাহলে পণ্যটিকে 'মিষ্টি রস' হিসাবে দাবি করতে হবে। অর্থাৎ, একটি কোম্পানি ঠিক যেভাবে ফ্রুট জুস তৈরি করে তার সবটাই উল্লেখ করতে হবে লেভেলে। আগামী দিনে এই নিয়ম না মানলে সেই কোম্পানিকে ব্যান করে দেওয়া হবে।