Durga Puja 2024 Uttam Kumar Mahalaya: চণ্ডীপাঠে ডাহা ফেল করে গিয়েছিলেন বাঙালির মহানায়ক উত্তম কুমার। সেই বছর মহালয়া যেন পুরোটাই অঘটনের দিন ছিল।
চণ্ডীপাঠে ডাহা ফেল করেন মহানায়ক!
Durga Puja 2024: বাংলা ও বাঙালির মহানায়ক বলতেই যে প্রবাদপ্রতিম মানুষটির মুখ সবার মনে ভেসে ওঠে, তাঁকেও একবার গোহারা হারতে হয়েছিল। ঠিকই ধরেছেন, উত্তম কুমারের কথাই বলা হচ্ছে। তাঁকে হার মানতে হয়েছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কাছে। চণ্ডীপাঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দিতে পারেনি মহানায়কের নায়কোচিত ভঙ্গি। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল সেবার ? কী কারণে হার মানতে হয় উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) ?
সত্তরের দশকে বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের অন্যতম কারিগর ছিলেন উত্তম কুমার। তিনি তখন খ্যাতির চূড়ায় । সেই সময় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) বদলে চণ্ডীপাঠের প্রস্তাব যায় উত্তম কুমারের কাছে (Uttam Kumar Mahalaya)। কিছুটা জোরাজুরির পর মহানায়ক সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অন্যবারের মতো সেবারেও অনুষ্ঠানের প্রযোজনায় ছিল আকাশবাণী। কিন্তু মহালয়ার ভোরে অতিপরিচিত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ শুনতে না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিল আপামর বাঙালি। উত্তম কুমার-এর গলায় চণ্ডীপাঠ শুনে বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অনেকেই। আকাশবাণীর ওই সম্প্রচারের পর শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। বেতার অফিসে রীতিমতো ভাঙচুর হয়। বাবুঘাটে তর্পণ করতে এসে অনেকে গালাগালিও দেন।
‘মহিষাসুরমর্দিনী’ নাম বদলে সেবার সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘দেবীং দুর্গতিহারিণীম’। উত্তম কুমারের গলায় (Mahalaya 2024) তা শোনার পরই আকাশবাণীর দফতরে একের পর এক ফোন। গণ্ডা গণ্ডা অভিযোগ আসতে থাকে। কাতারে কাতারে বিক্ষুব্ধ মানুষ দাবি তোলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকে ফিরিয়ে আনার। বাঙালির সেই বাঁধভাঙা আবেগকে অস্বীকার করতে পারেনি আকাশবাণী। বিপাকে পরে বাধ্য হয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অনুষ্ঠান পুনরায় সম্প্রচার করা হয়। মহাষষ্ঠীর দিন সকালে তা সম্প্রচারিত হয়।
তবে চণ্ডীপাঠের প্রস্তাব প্রথমেই গ্রহণ করেননি উত্তম কুমার। জোরাজুরি করার পর তিনি নিমরাজি হন। ওই অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু এত আয়োজনের শেষ রক্ষা যে হয়নি, তা পরের ঘটনাক্রম স্পষ্ট করে দেয়। আকাশবাণী সেবারে ফের একবার মহালয়ার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছিল। মহাষষ্ঠীর দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অনুষ্ঠানই সম্প্রচার করা হয়েছিল। তার পর থেকে আর ‘ভুল’ হয়নি আকাশবাণীর। আজও বিভিন্ন বর্ষের রেকর্ডিং সংস্করণ সম্প্রচার করলেও আকাশবাণী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের রেকর্ডিংই বাজিয়ে থাকে।