যুবক বনে বেড়াতে গেল, ভাল্লুক আসতে দেখে গাছে উঠে গেল, ভাল্লুক গাছে উঠতে পারে না, তাই বেঁচে গেল প্রাণ। ছোটবেলায় পড়া এই গল্পটাই ডাহা ভুল। ভাল্লুক খুব সহজেই গাছে উঠতে পারে। এ তথ্য প্রমাণও করে দিয়েছেন এক আইএফএস অফিসার।
প্রায়শই, বন্যপ্রাণীর অনন্য সমস্ত ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করে থাকেন এই আইএফএস অফিসার। নাম, পারভীন কাসওয়ান। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় তিনি। সম্প্রতি, পারভীন সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্য ভাল্লুকের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, যা দেখে অবাক নেটিজেনরা। তবে এই ভিডিয়োটির ক্যাপশন আরও আকর্ষণীয়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে, একটি স্ত্রী ভাল্লুক তার শাবক নিয়ে একটি গাছে উঠেছে।
- ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে
১.২৪ সেকেন্ডের এই ক্লিপটি মাইক্রোব্লগিং সাইট 'এক্স'-এ শেয়ার করেছেন পারভীন কাসওয়ান। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি মা ভালুক তার বাচ্চার সঙ্গে গাছের অনেক উঁচুতে উঠেছে। প্রথমে মা ভাল্লুকটি নীচে নেমে আসছে এবং তার মতোই দেখতে শাবকটিও ধীরে ধীরে গাছ থেকে নামতে চাইছে। ছোট ভাল্লুক এরপর তার মাকে গাছের নীচে নামার ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে শুরু করেছিল। এরপর যদিও আবার সে দ্রুত গাছে উঠে গিয়েছিল।
একটি ভাল্লুক এত দ্রুত গতিতে গাছে উঠতে দেখে নেটিজেনদের পাশাপাশি আইএফএস অফিসার পারভীন কাসওয়ানও হতবাক হয়েছিলেন। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে তাই তিনি লিখেছেন- আপনারা সবাই নিশ্চয়ই শুনেছেন যে কীভাবে একজন বন্ধু একটি গাছে উঠে ভাল্লুকের হাত থেকে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিল। কিন্তু এখানে একটি হিমালয়ের কালো ভাল্লুক মা এবং শাবক দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের শৈশব কতটা মিথ্যা ছিল!
- ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে কী বলছে মানুষ
এই ভিডিয়োটি এক্স এ (আগের টুইটারে) ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে এবং নেটিজেনরা এটিকে অনেক পছন্দও করছেন। এটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ দেখেছেন এবং ভিউজ সংখ্যা আরও দ্রুত বাড়ছে। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন- এখন হয়তো তারা বিবর্তিত হয়েছে! আরও একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন- মনে হয় শৈশবে শেখানো সব পাঠই ছিল মিথ্যা। তৃতীয়জন মজা করে লিখেছেন – এত বছর ধরে আমাদের বোকা বানানো হয়েছে। এটা ভাল যে তারা আসলে একে অপরের সঙ্গে দেখা করেনি, নইলে ভাল্লুক বলত, আজ আমি আপনার ভুল বোঝাবুঝি দূর করব।