বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > ওষুধ খেলেও বিপদ কমছে না ৮৫ শতাংশের! হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী করবেন?
পরবর্তী খবর
হার্টের রোগ এখন ঘরে ঘরে। আর তার নেপথ্যে বড় কারণ হাইপারটেনশন বা হাই ব্লাড প্রেশার। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণের ওষুধও ভারতীয়দের উপর খুব একটা কাজে দিচ্ছে না। সম্প্রতি এক সেমিনারে এই পরিসংখ্যানই হয়ে উঠল আলোচনার বিষয়বস্তু।
কপালে ভাঁজ ফেলছে পরিসংখ্যান
দেশে হাইপারটেনশন বা হাই ব্লাড প্রেশারে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২৫ থেকে ৪৪ শতাংশ মানুষ নিজের রোগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এদের মধ্যে মাত্র ২৫ থেকে ৩৮ শতাংশ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ লাভ হচ্ছে না, সে তথ্যই ধরা পড়েছে পরিসংখ্যানে। দেখা গিয়েছে, যাঁরা ওষুধ খান, তাঁদের মাত্র ১১ থেকে ২০ শতাংশের প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। অর্থাৎ বিপদ কমছে না ৮৫ শতাংশের। বাকি অধিকাংশ ব্যক্তির প্রেশার আগের মতোই অনিয়ন্ত্রিত থেকে যাচ্ছে। তাই ওষুধের ব্যাপারে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।আরও পড়ুন - হাই প্রেশার এভাবেই হতে পারে ব্রেন স্ট্রোকের কারণ! বশে রাখতে হলে রুটিনে চাই ৫ বদল
দিলেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ানসের অব ইন্ডিয়ার তরফে আয়োজিত হয় একটি আলোচনা সভা। সেখানেই প্রবীণ চিকিৎসকরা আলোচনা করেন এই বিষয়টি নিয়ে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ানসের সর্বভারতীয় সভাপতি চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল, আইএমএ-এর অনারারি সেক্রেটারি চিকিৎসক শর্বরী দত্ত, কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট চিকিৎসক ধীমান কাহালি, কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সভাপতি চিকিৎসক ডিপি সিনহা, কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সহ সভাপতি চিকিৎসক সৌমিত্র রায়, আরএসএসডিআই ওয়েস্ট বেঙ্গলের সেক্রেটারি চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়, এপিআই-এর পশ্চিমবঙ্গ ব্রাঞ্চের সেক্রেটরি চিকিৎসক পার্থ সরকারের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরও দিলেন তাঁরা।আরও পড়ুন - মঙ্গলের গর্ভ জলের খনি! কত মানুষের বাসযোগ্য হতে পারে লালগ্রহ? সাড়া ফেলল গবেষণা