বর্তমানে টিআরপির উপর ভিত্তি করে একাধিক নতুন নতুন মেগা মাত্র কয়েক মাস চলার পরই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জি বাংলাও এর ব্যতিক্রম। এই চ্যানেলেও বহু নতুন নতুন মেগা এসেছে, আবার খুব অল্প দিন চলেই তা শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে কিছু কিছু মেগার ক্ষেত্রে ঘটেছে রদবদল থুড়ি স্লট বদল। এই স্লট বদলের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ‘অমর সঙ্গী’কেও। আর এবার খবর শেষ হচ্ছে নীল ভট্টাচার্য ও শ্যামৌপ্তি মুদলি অভিনীত এই ধারাবাহিক। মঙ্গলবার ধারাবাহিকের নায়িকা শ্যামৌপ্তি তাতে সিলমোহর দিয়েছেন।
কী পোস্ট করেছেন নায়িকা?
মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামৌপ্তি তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে নায়িকা তাঁর 'অমর সঙ্গী'-এর লুকের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেন। পোস্টে তাঁকে ধারাবাহিকের লুকে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মেকআপ রুমের কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সেটে সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে তাঁকে আনন্দ করতেও দেখা গিয়েছে ভিডিয়োয়। তাছাড়াও দোলের বিশেষ পর্বের কিছু মুহূর্তও নায়িকা ভাগ করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'যাই ঘটুক না কেন…', যিশুর সঙ্গে বিচ্ছেদ-চর্চার মাঝেই কী ইঙ্গিত করলেন নীলাঞ্জনা?
এই সব ছবি ও ভিডিয়োগুলি পোস্ট করে আবেগপ্রবণ হয়ে শ্যামৌপ্তি ক্যাপশনে লেখেন, ‘অভ্যেস বড়ই কঠিন জিনিস, ছাড়তে আর ধরতে দুটোতেই সময় লাগে। ৯ মাসের এই পথ চলা এবার গন্তব্যে পৌঁছেছে, তাই এবার বিদায় নেওয়ার পালা। একগুচ্ছ অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দিলাম পরবর্তী গন্তব্যে।’ শেষে একটি হার্ট ইমোজি দিয়ে লেখেন, 'অমর সঙ্গী...'। তারপর তিনি তাঁর উপর বিশ্বাস রাখার জন্য চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানতেও ভোলেননি।
কে কী বলছেন?
নায়িকার এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীদের মুখ ভার। একজন লিখেছেন, 'সত্যি খুব মিস করব তোমাকে দিদি।' আর একজন লেখেন, 'খুব মিস করব। একদিন না দেখলেই ভালো লাগত না।' আর এক আশাবাদী ভক্ত লিখেছেন, ‘নতুন রূপে দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম..... নতুন ভাবে নতুন রূপে সব কিছু ভাল হবে.... কারণ ভালো হতে বাধ্য।’
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের ফারাক নিয়ে শুনতে হয় কটাক্ষ! ‘লুকিয়ে…’, স্বর্ণেন্দুকে নিয়ে কী লিখলেন শ্রুতি
প্রসঙ্গত, ৯ মাস আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রোডাকশন হাউজের হাত ধরে নীল ও শ্যামৌপ্তির মতো নামি দুই তারকাকে নিয়ে জি বাংলায় পথ চলা শুরু হয় ‘অমর সঙ্গী’-র। একদম শুরুতে অমর সঙ্গী দেখানো দুপুর আড়াইটের সময়। নতুন কোনও মেগাকে দুপুরের স্লটে শুরু করার যে সিদ্ধান্ত জি বাংলা নিয়েছিল, তা কার্যতই ব্যর্থ হয়। দেখা যায়, টিআরপিতে খুব সামান্য নম্বর তুলছে এই মেগা। তারপর পাঠানো হয় দুপুর সাড়ে ৩টেয়।