শুরুটা একটু ঢিমেতালে হলেও, বর্তমানে জি বাংলার ধারাবাহিক মিঠিঝোরা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিন বোনের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল মেগা। শুরুর পরপর টিআরপি একটু ঢিমে থাকলেও, যবে থেরে রাই আর অনির্বাণের ভালোবাসা শুরু হয়েছে, তবে থেকে দর্শকদের উৎসাহও তুঙ্গে।
তবে মিঠিঝোরার দর্শকদের জন্য রয়েছে খারাপ খবর। কারণ রাই-অনির্বাণের বিয়ের ঠিক আগেই হয়ে গেল মুখ্য চরিত্রের বদল। রাই-নীলুর দাদা বিক্রমের চরিত্রে আর দেখা যাবে না অনিরুদ্ধ গুপ্তকে। বরং সেই জায়গায় এবার আসছেন তিনি খুব জনপ্রিয় মুখ। টেলি অভিনেতা সুতীর্থ সাহা আসছেন বিক্রমের চরিত্রে। প্রথমা কাদম্বিনী, কে আপন কে পর, মেঘে ঢাকা তারা-র মতো সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে সুতীর্থকে।
আরও পড়ুন: ‘জি কাকুর মাথা খারাপ’! ঘোষণা হল মালা বদলের সম্প্রচারের সময়, কার বড় ক্ষতি হল
বিক্রমের চরিত্রটা নেগেটিভ হলেও, অনেক দর্শকেরই একটা ইমোশনাল বন্ড তৈরি হয়ে গিয়েছিল অনিরুদ্ধর সঙ্গে। ফলত গল্পের এরকম একটা টার্নিং পয়েন্টে এসে মুখ বদল নিসন্দেহে খটকাবে অনেকেরই চোখে। টলিপাড়ার খবর, হাতে অনেকগুলো ওয়েবসিরিজের কাজ রয়েছে অনিরুদ্ধর। আর মিঠিঝোরা ধারাবাহিকে বোন ও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ছাড়া সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহারও করা হয়নি বিক্রম চরিত্রটাকে। হুইলচেয়ারে বসা পঙ্গু হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সরে আলার সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: খেলা শেষে বাবা ডিউটি বিরাটের, ফ্লাইং কিস নয় অনুষ্কার, জিভ দেখালেন অকায় না ভামিকাকে?
আপাতত মিঠিঝোরার গল্প অনুযায়ী পরিবারের অমতেই অনির্বাণ বিয়ে করছে রাইকে। যদিও রাইয়ের পরিবারের মত আছে এই বিয়েতে, শুধু মেজো বোন নীলু আর দাদা বিক্রম ছাড়া। তবে দেখা যাবে রাইয়ের বিয়ের রাতেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করবে নীলু। আর যা তাঁদের মা কাঁদতে কাঁদতে এসে জানাবে রাইকে। এবারেও কি বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে যেতে হবে তাকে?
আরও পড়ুন: ‘তাই হয়তো ডিভোর্সটাও…’, ৪৫ এসেও অবিবাহিত ‘পটকা’ অম্বরীশ, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
এর আগে দেখা গিয়েছিল, রাইয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল শৌর্যর। তবে সেই বিয়ের দিনই মারা যায় তার বাবা। হঠাৎ করে দিশেহারা রাই ঠিক করে শৌর্যর সঙ্গে বিয়ে দেবে তার মেজো বোন নীলুর। সবাইকে লুকিয়েই সে কাজ করে রাই। নীলু বাধ্য হয়ে বিয়েটা করে দিদির কথায়, পরে দেখা যায় সে নিজের দিদিকেই হিংসে করতে শুরু করে। আর তারপর বরের মন পেতে, মিথ্যে প্রেগন্যান্সির নাটক করে। শৌর্য বাবা হওয়ার খবরে, রাইকে ভুলে নীলুর সঙ্গে থাকারই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরে মিথ্যে জানতে পেরে, নীলুকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় নিজের বাড়িতে।