মিঠাই সিরিয়ালের সুবাদেই বন্ধুত্ব দুজনের। কিন্তু ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই মোদক পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে দূরত্ব তৈরি হয় সৌমিতৃষার। সেই দূরত্বের প্রমাণ মিলেছে আদৃত-কৌশাম্বির বিয়ের অনুষ্ঠানে। বাকি সকলে আমন্ত্রিত থাকলেও ডাক পাননি মিঠাইরানি।
মাস কয়েক আগে নাম না করেই সৌমিতৃষাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তন্বী। লিখেছিলেন, ‘যখন প্রয়োোজন ছিল ফলো করে রেখেছিলেন। এখন অনেক দূর পৌঁছে যাওয়ায় আনফলো করে দেওয়া…’। প্রধান মুক্তির ঠিক আগে লেখা এই পোস্ট যে সৌমিতৃষাকে ঘিরে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারুর। তন্বী-ধ্রুবর মতো মিঠাই সহ-অভিনেতাদের আনফলো করার কারুণ আজ অবধি খোলসা করেননি সৌমিতৃষা। দিয়েছেন গোলগোল জবাব।
গত মাসে তন্বীর মায়ের মৃত্যুর পর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সৌমিতৃষা। সেই ঘটনাতেই দুই পুরোনো বন্ধুর মান-অভিমানের পর্ব মিটেছে তা স্পষ্ট। দীর্ঘ সময় তন্বীর কোনও ছবিতে কমেন্ট করতে দেখা যায়নি সৌমিতৃষাকে। তবে পর্দার তোর্সার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভালোবাসার চিহ্ন আঁকলেন সৌমিতৃষা। সেই ভালোবাসা ফিরিয়েও দিয়েছেন তন্বী।
সম্প্রতি কালো লেহেঙ্গায় সেজে একটি ছবি পোস্ট করেন তন্বী। সেই ছবিতেই তিনটি লাল হৃদয় যোগ করেন সৌমিতৃষা। পালটা ভালোবাসা জানান তন্বী। বড়জার সঙ্গে মিঠাইরানির মিল দেখে দারুণ খুশি ভক্তরা।
টেস বুড়ির সঙ্গে পর্দায় শুরুর দিকে একদমই বনিবনা হত না মিঠাইয়ের। তবে সতীন কাঁটা থেকে একটা সময় মিঠাইয়ের সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে উঠে তোর্সা। অফস্ক্রিনে শুরু থেকেই দুজনের বন্ডিং ছিল নজরকাড়া। কেন তৈরি হয় দূরত্ব? দুই নায়িকার পরিচিতমহলের তরফে কানাঘুষো তন্বীর সঙ্গে সৌমিতৃষার মনোমালিন্যের শুরু একটি ভিডিয়ো ঘিরে! মিঠাই শেষ হওয়ার পরে কৌশাম্বি ও সৌমিতৃষার সঙ্গে একটি পুরোনো ভিডিয়ো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তন্বী। সেটাই পছন্দ হয়নি সৌমিতৃষার। তারপরই সোশ্যালে তন্বীকে আনফলো করেন অভিনেত্রী।
শুরুতে ফলো করে পরে আনফলো করে দেওয়ার প্রশ্নে, সৌমিতৃষার সাফাই-'আমি তো আর শাহরুখ খান নই যে কাকে ফলো করলাম আর আনফলো করলাম সেটা নিয়ে ভাবতে হবে'। গত মাসে তন্বীর মা মারা যাওয়ার পর শোকে কাতর বন্ধুর পাশে দাঁড়ান সৌমিতৃষা। সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা বলেছিলেন, ‘ওঁর মা মারা গিয়েছেন। এটা যাঁর সঙ্গে হয় সেই যন্ত্রণাটা বোঝে। এই ক্ষতি কোনওদিন পূরণ হওয়ার নয়। আজকের দিনে আমি আমার পুরনো সহকর্মী বা বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করব না এমনটা তো হতেই পারে না। আমি খবর পেয়েই ফোন করেছি’।
আপতত স্বস্তিতে তন্বী-সৌমিতৃষার ভক্তরা। পুরোনো ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে বেঁধে বেঁধে থাকুক দুই বন্ধু, কামনা তাঁদের।