স্বরা ভাস্কর এবং ফাহাদ আহমেদ ২৩ শে সেপ্টেম্বর তাঁদের মেয়ে রাবিয়ার জন্মদিনের নানা মুহূর্তের ছবি ইনস্টাগ্রামে যৌথভাবে একটি মিষ্টি পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। অভিনেত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা তাঁদের ছোট্ট মেয়ের জন্মদিনের পার্টির নানা রঙিন সুন্দর মুহূর্তের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া ক্যাপশন লিখেছেন।
ছবিগুলি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে স্বরা ভাস্কর লিখেছেন, 'আমার হৃদস্পন্দন আজ এক বছর পূর্ণ করেছে! শুভ জন্মদিন রাবু ডার্লিং। তুমি আমার সমস্ত প্রার্থনার ফল। আমি তোমায় দিচ্ছি যে, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, প্রতিদিন তোমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখব। তোমাকে নিরাপদে রাখব। আমি গত বছর থেকে প্রতিটি দিন নিজেকে ধন্য মনে করি। প্রতিদিন তোমাকে নিয়ে আমি আগের থেকেও আরও বেশি আনন্দে থাকি! আমি তোমাকে এত বেশি ভালোবাসি যে কখনও ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না! এবার 'মা' বলো।'
আরও পড়ুন: 'আমি না জেনেই আমার বাগদত্তার সঙ্গে…' ‘জওয়ান’-এর সেটে নিজের অপমানের বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বিরাজ!
রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যায় সব সময় সোচ্চার হন স্বরা। গত বছরও তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মধ্যমে তিনি গাজার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একটি পোস্ট শেয়ার করে নিজের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়ে লিখেছিলেন, গাজায় জন্মালে তাঁর মেয়েকে কীভাবে রক্ষা করতে তিনি? আদৌও কী রক্ষা করতে পারতেন তাঁর আদরের মেয়ে ছোট্ট রাবিয়াকে?
আরও পড়ুন: জুলাইতে মা হন, ফের বেবি বাম্প নিয়ে সামনে এলেন রিচা চাড্ডা! নতুন করে সুখবর?
ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে পোস্ট করে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘যে কোনও নতুন মা জানেন যে নবজাতকের দিকে পরিপূর্ণতা, শান্তি এবং আনন্দের অনুভূতি নিয়ে তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি নিশ্চিত যে বিশ্বজুড়ে যা ঘটছে তাতে অনেক মায়ের মতো আমরা যখন আমাদের সন্তানের দিকে তাকাই, তখন এই অনুভূতিটা ক্রমাগত ভয়ঙ্কর চিন্তা-ভাবনা দ্বারা বিঘ্নিত হয়, যা উপেক্ষা করা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার ছোট্ট মেয়ের ঘুমন্ত শান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং ভাবি যে গাজায় জন্ম নিলে আমি কীভাবে ওকে রক্ষা করতাম এবং প্রার্থনা করি যে ওকে যেন কখনও এমন পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়। তারপরে ভাবি যে রাবিয়া কি আশীর্বাদ নিয়ে জন্মে করেছিল? আর গাজার সেই শিশুরা, ওরা কি অভিশাপের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিল? প্রতিদিন একটা বন্দী আকাশের নীচে নিহত হবে বলে?’