সোমবার ডিরেক্টর্স গিল্ড ডাক দিয়েছিল বিশেষ বৈঠকের। সম্প্রতি এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় বিচলিত সকলে। ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত বিভাগের নিরাপত্তা, কাজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে এবং কাজের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার স্বার্থে টেকনিশিয়ান স্টুডিওয় একজোট হওয়ার বার্তা পৌঁছেছিল টলিপাড়ার শিল্পীদের কাছে।
মাস দুয়েক আগে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর থেকে সাসপেনসনের উঠবার পর রাহুলের পরিচালনা ঘিরে ফেডারেশনের সঙ্গে গণ্ডোগোল বেঁধেছিল ডিরেক্টর্স গিল্ডের, সেই ঝামেলার আঁচ এখনও নেভেনি তা বেশ স্পষ্ট। এ দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে কেশসজ্জা শিল্পীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানান সংগঠনের সভাপতি সুব্রত সেন, সম্পাদক সুদেষ্ণা রায়, পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীরা। কিন্তু এই বৈঠকের তাল কাটল শ্রীলেখা মিত্র মেজাজ হারানোয়।
চার বছর আগে তো আমি এই থ্রেট কালচার, ফেভারিটিজম নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমাকে কি এই মেয়েটার মতো গায়ে আগুন দিয়ে প্রমাণ করতে হত আমি যা বলছি সেটা ঠিক কথা বলছি। এই কালচারটা আছে, যারা পাওয়ারে থাকে, যারা পাওয়ারে আছে তারা ঠিক করে কারা কাজ করবে। এখানে ট্যালেন্টের নিরিখে, কাজের নিরিখে কাজ দেওয়া হয় না। তুমি ডিরেক্টরের কাছের লোক কিনা, তুমি প্রযোজকের কাছের লোক কিনা, কিংবা কোনও গোষ্ঠীর কাছের লোক কিনা সেই হিসাবে কাজ দেওয়া হয়'।
শ্রীলেখার আরও অভিযোগ, ‘চার বছর আগে আমি এই কথাগুলো বলেছিলাম। দিনের পর দিন এই মেয়েটিকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এখানে মেরিট বিচার করে কাজ করতে দেওয়া হয় না এমনটা নয়। অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও নিজেদের মধ্যে খাওয়া-খায়ি করতে ব্যস্ত।…. আরজি করের ঘটনা যেমন সবাইকে নাড়া দিয়ে গেল, তেমনই আরেকজন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর সবাই কথা বলছে’।
কেন শ্রীলেখাকে বৈঠকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি? সুদেষ্ণা রায় জানান, এটা পরিচালকদের বৈঠক, অন্য কাউকে কথা বলতে দেওয়া যাবে না। যদিও শ্রীলেখা স্পষ্ট বলেন সকলকেই সেখানে ডাকা হয়েছিল। কার্ডে স্পষ্ট লেখা ছিল অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও নিজেদের মতামত জানাতে পারে। এবং শ্রীলেখা নিজেও পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। এদিন নাম না করে স্বস্তিকাকেও বেঁধেন অভিনেত্রী।
শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি সময়ের আগে বলেছিলাম। যার জন্য বেশকিছ মানুষ…. অনেক বড় হিরোইন, যাকে প্রতিবাদের মুখ হিসাবে মানুষ ধরছে। তিনি বলেছিলেন আমি স্লাট শেমিং করছি। আমি তো সম্পর্কের কথা বলেছিলাম, তাঁর কাছে হয়ত সম্পর্ক মানে স্লাট শেমিং।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর মধ্যেই খামতি ছিল তাই কাজ পাননি, এমনটাও সেই অভিনেত্রী বলেছিলেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা আরও যোগ করেন, ‘আমাকে শুনতে হয়েছে, তুমি মাথাদেরকে চটিয়েছো….যেহেতু আমি অভিনেত্রী হিসাবেই কথা বলেছিলাম আমাকে ডিফেম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কেন শ্রীলেখা কথাগুলো বললেন, সেটা বিবেচনা করা হয়নি’।