অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে ‘ত্রাতা মধুসূদন’ আখ্যা দিলেন রূপঙ্কর বাগচি। এমনকী, জানালেন বাড়িতে মেয়ে মহুলের কাছে আজকাল একটু বেশিই আদর-ভালোবাসা পাচ্ছেন অনির্বাণের কারণেই। আসলে আপাতত রূপঙ্কর-কন্যার ক্রাশ হলেন টলিউডের অন্যতম এই হ্যান্ডসাম হিরো। তাই তো বাবা সেই ভালোলাগার মানুষটার সঙ্গে শ্যুট করছে জানতে পেরেই আহ্লাদে আটখানা গায়কের অষ্টাদশী কন্যে।
অনির্বাণের সঙ্গে একটি সাদা-কালো ছবি ভাগ করে নিলেন রূপঙ্কর। আর তাতেই মেয়ের ব্যাপারটা খোলসা করলেন ‘হু ইজ কেকে’ বিতর্কে জড়ানো গায়ক। লিখলেন, ‘মহুল বড় হয়ে গেছে, সেটাই স্বাভাবিক! মেয়ের থেকে এখন মায়ের ভুমিকাতেই ও সাবলীল। এদিক থেকে ওদিক হলেই ওর শাসনের ভয় থাকে,আমি মোটামুটি আমার ছোটোবেলাতেই আবার ফিরে গেছি।’
আরও পড়ুন: ‘আমার খারাপ সময়ে…’! বিয়ের আগেই গর্ভবতী, ইলিয়ানা মুখ খুললেন বর মাইকেলকে নিয়ে
‘গতকাল এই ভদ্রলোকের সঙ্গে একটি শ্যুটিং ছিলো। এবং তারপর থেকেই বাড়ি আসা ইস্তক মহুলের যে কী আদর আমাকে কী বলব। কী যে যত্ন করছে কী বলব। ভাই অনির্বাণ, তোমার আরো উন্নতি হোক!! আমার মত বাবাদের কাছে তুমি ত্রাতা মধুসূদন!!’, আরও লেখেন রূপঙ্কর বাগচি।
আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো ভিডিয়ো’ বানানোয় গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার মণীশ কাশ্যপ যোগ দিলেন বিজেপিতে
মহুলকে নিয়ে বরাবরই আবেগে ভাসেন গায়ক। তিনি আর চৈতালি লাহিড়ি মা-বাবা হতে পারছিলেন না যখন, তখনই কোলে আসে মেহুল। মেয়েকে দত্তক নেন তাঁরা। ইস্মার্ট জোড়ি-তে রূপঙ্কর-পত্নী জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। চেষ্টার কোনও ত্রুটিও রাখেননি দম্পতি। চিকিৎসকদের কাছেও দৌড়েছিলেন অনেক। এরপর দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত, কোলে আসে কন্যা সন্তান মেহুল।
কোনওদিনই মেহুলের কাছে গোপন রাখেননি তাঁরা দত্তক নেওয়ার কথা। জানিয়েছিলেন, চৈতালির গর্ভ থেকে জন্ম না হলেও, হৃদয় থেকে জন্ম হয়েছে তাঁর। খুব কেঁদেছিলেন মা-মেয়ে সেদিনকে।
আরও পড়ুন: কোন যোগ্যতায় IPL-এর কমেন্ট্রি করেন প্রেরণা? ট্রোল হতেই জবাব এল, 'লোকের ফেটেছে'
রূপঙ্করের পোস্টে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি অবশ্য অনির্বাণের থেকে। অভিনেতা হিসেবে তাঁর সাফল্য নিয়ে, নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্যোমকেশ হিসেবে বাঙালি দর্শক তাঁকে আপন করেছেন। দশম অবতার হোক বা দ্বিতীয় পুরুষ, বিবাহ অভিযান হোক বা ভিঞ্চি দা, সবেতেই তিনি সফল। এখন তো অভিনেতার পাশাপাশি, তিনি সফল পরিচালকও।