বাদ গেল অর্জুন কাপুর-সঞ্জয় দত্তের পানিপথের ১১ মিনিটের দৃশ্য। জাঠদের আপত্তির জেরেই এই সিদ্ধান্ত টিম পানিপথের। জাঠেদের দাবি ছিল মহারাজ সুরজমলের চরিত্রটিকে ভুলভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর। ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি তুলে রাস্তায় নেমেছিল একাধিক জাঠ সংগঠন। অবশেষে বিতর্কের ইতি টানতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই ছবি থেকে সেইসব দৃশ্যগুলি বাদ দিল প্রযোজক সংস্থা রিলায়েন্স এন্টারটেনমেন্ট। 'কারুর ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না টিম পানিপথের, সেই কারণেই অবস্থার সংবেদনশীলতার কথা মাথায় থেকে ছবির ১১ মিনিট অংশ ছেঁটে ফেলা হল। দৃশ্যগুলি আর পানিপথ ছবির অংশ থাকছে না। এবং গোটা ছবিটি ১১ মিনিট কম দীর্ঘ হবে', খবর প্রযোজক সংস্থা সূত্রে।১৭৬১ সালের পানিপথের তৃতীয়যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে আফগান সুলতান আহম্মদ শাহ আবদালির ভূমিকা দেখা গেছে সঞ্জয় দত্তের। অন্যদিকে মারাঠা যোদ্ধা সদাশিব রাও-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্জুন কাপুর।বিতর্কিত দৃশ্যটিতে দেখানো হয়েছিল, সদাশিব রাও(অর্জুন) মহারাজ সুরজমলের কাছে আহম্মদ শাহ আবদালির(সঞ্জয় দত্ত) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছেন। সদাশিবের আর্জি শুনে তাঁর কাছে সাহায্যের পরিবর্তে আগ্রা দুর্গ দাবি করেন সুজামল, সেই দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করেন সদাশিব রাও। ৬ ডিসেম্বর মুক্তির পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে এই ছবি। বিজেপি বিধায়ক তথা মহারাজ সুজমলের বংশধর বিশবেন্দ্র সিং এই ঐতিহাস নির্ভর ছবির বিরোধিতা করেছেন। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও। আশুতোষ গোয়ারিকরের ইতিহাস নির্ভর ছবি এই প্রথম বিক্ষোভের মুখে পড়েনি। এর আগে হৃত্বিক-ঐশ্বর্য অভিনীত যোধা-আকবর ছবিও রাজপুত রোষের মুখে পড়েছিল। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ এই ছবি। মুক্তির প্রথম ছয়দিনে মাত্র ২২.৪৩ কোটি টাকা আয় করেছে পানিপথ।